মেসি-রোনালদো তর্কে সংসার ভাঙল রাশিয়ান দম্পতির

কে সেরা? লিওনেল মেসি না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? এ প্রশ্নের জবাব দিতে হিমশিম খেতে হয় ফুটবল বোদ্ধাদের। আর এমন যদি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে আমজনতাকে, তাহলে এ নিয়ে বিবাদ নিশ্চিত। হরহামেশাই হচ্ছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। এ তর্কে এবার রাশিয়ায় বিচ্ছেদ হলো এক দম্পতির।

কে সেরা? লিওনেল মেসি না ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? এ প্রশ্নের জবাব দিতে হিমশিম খেতে হয় ফুটবল বোদ্ধাদের। আর এমন যদি সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে আমজনতাকে, তাহলে এ নিয়ে বিবাদ নিশ্চিত। হরহামেশাই হচ্ছে পৃথিবীর আনাচে কানাচে। এ তর্কে এবার রাশিয়ায় বিচ্ছেদ হলো এক দম্পতির।

গত এক দশক ধরেই ফুটবল বিশ্বে রাজত্ব করছেন মেসি ও রোনালদো। এমনকি তাদের ক্লাবও। এক আসরে রোনালদো ভালো খেললে পরের আসরে করছেন মেসি। দুইজনই সমান পাঁচটি করে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। তাই তাদের নিয়ে তর্কের শেষ খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিনই। সেই কঠিন কাজটি করতে গিয়েই ঘর ভেঙেছে আর্সেন ও লুদমিলার।

মজার ব্যাপার হলো এ দুই জনের পরিচয় হয় ২০০২ বিশ্বকাপের সময়। দুইজনই ফুটবল প্রেমী হওয়ায় পরিণয় হতেও সময় লাগেনি। ১৬ বছর বেশ ভালোই সংসার জীবন কাটছিল। কিন্তু একটা সমস্যা কাঁটা হয়ে দাঁড়াত মাঝে মধ্যেই। লুদমিলা পছন্দ করেন রোনালদোকে আর আর্সেনের প্রিয় মেসি।

দুইজন নিজের পছন্দের খেলোয়াড়কে এককভাবে এগিয়ে রাখতেন সবসময়। মাঝে মধ্যে আবার একে অপরকে টিপ্পনী কাটতেন এ নিয়ে। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে বিষয়টি সীমা ছাড়িয়ে যায়। তাই শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন এ দম্পতি। রাশিয়ান পত্রিকা আরগুমেন্তি ই ফাক্তিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্সেন বলেন, ‘সে বিশ্বকাপের আগে থেকেই বলে আসছে ফুটবলটা কিভাবে খেলতে হয়, এটা জানেই না মেসি।’

‘সে সবসময় মেসিকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে। নানা ভাবে অপমান করে। বলে মেসি তো পেনাল্টি থেকেও গোল করতে পারে না। আমি নিজেকে ধরে রাখতে পারছিলাম না। এবং রোনালদো সম্পর্কে আমি কি ভাবি তা বলেছিলাম। শুধু তাই নয় পর্তুগিজ দল ও তার ক্লাব সম্পর্কেও।  এরপর আমি আমার জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে যাই এবং তাকে চিরতরে ছেড়ে দেই।’ – যোগ করে বলে আর্সেন।

Comments