'বেলজিয়ামের ট্যাকটিকসেই কাবু হয়েছে ব্রাজিল'
ম্যাচের প্রথমার্ধে যেন ব্রাজিলের রক্ষণভাগ কাঁপিয়ে দিয়েছে বেলজিয়াম। রেড ডেভিলদের একেকটি প্রতি আক্রমণে যেন ফাটল ধরে যাচ্ছিল ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্সে। তেমনি এক প্রতি আক্রমণ থেকে দলের দ্বিতীয় গোলটি করা কেভিন ডি ব্রুইন বলছেন, বেলজিয়ামের গতিময় প্রতি আক্রমণের কোন জবাবই ছিলো না ব্রাজিলের কাছে।
মূলত বেলজিয়ামের ট্যাকটিকসের কাছেই ব্রাজিল আটকে গেছে বলে মনে করছেন গতকালের ম্যাচের ম্যাচসেরা ডি ব্রুইন। ম্যাচশেষে কাজান অ্যারেনায় সাংবাদিকদের সামনে ডি ব্রুইন বলেছেন, ‘আমরা টেকনিকালি খুব সূক্ষ্মভাবে ফর্মেশন বদলে ফেলেছিলাম। লুকাকু আর হ্যাজার্ড নিজেদের মধ্যে পজিশন অদল বদল করে নিয়েছিল। আমার মনে হয় প্রথমার্ধে আমরা খুব ভালো খেলেছি, অনেকগুলো ভালো সুযোগ তৈরি করেছি। ওরা আসলে বুঝতেই পারেনি ওদের কী করা উচিত। দ্বিতীয়ার্ধে তারাও ফর্মেশনে বদল আনে, আমাদের চেয়ে ভালোও খেলেছে। কিন্তু তখনও আমরা গোলের সুযোগ তৈরি করতে পেরেছি।’
১৯৮৬ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে উঠেছে বেলজিয়াম, হাতছানি দিচ্ছে প্রথমবারের মতো ফাইনাল খেলার স্বপ্নও। কিন্তু ফাইনালে ওঠার পথে কাঁটা ছিটিয়ে অপেক্ষা করে আছে উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠা ফ্রান্স। নকআউট পর্ব থেকেই যেন অন্যরকম ছন্দ খুঁজে পেয়েছে দিদিয়ের দেশমের দল। কিন্তু ডি ব্রুইন ফ্রান্সের শক্তিমত্তাকে আলাদা করে পাত্তা দেয়ার কিছু দেখছেন না, ‘ফ্রান্স অসাধারণ একটা দল। কিন্তু বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো ম্যাচে নিশ্চয়ই আপনি দুর্বল কোন প্রতিপক্ষ আশা করতে পারেন না। এখানে আসা সব দলই জানে ফুটবলটা কীভাবে খেলতে হয়। ফ্রান্সের সাথে আমাদের পার্থক্য খুব বেশি নয়, ওদের সাথে সমান সমান অবস্থায় থেকেই ম্যাচে নামব আমরা।’
সেমিফাইনালে উঠলেও এতেই সন্তুষ্ট হয়ে থাকতে চান না, বরং ফাইনালে খেলার আশাটাও জানিয়ে রেখেছেন ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার, ‘আমরা খুব বিশেষ কিছু অর্জন করেছি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা সহজ কিছু নয়, কারণ ১০ থেকে ১৫ টি দল এখানে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আসে। সেমিফাইনালে পৌঁছাতে পেরে আমরা ভীষণ গর্বিত। ফ্রান্সের বিপক্ষে ম্যাচটা জিততে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। শেষ চারে আসতে পেরে আমরা খুশি, কিন্তু আমরা ফাইনাল খেলতে চাই।’
আরও পড়ুন ঃ রাশিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া : ভবিষ্যদ্বাণী, একাদশ ও রেকর্ড
Comments