সংখ্যায় সংখ্যায় ইংল্যান্ড-সুইডেন ম্যাচ

বিশ্বকাপ শুরুর আগে হয়তো দল দুটিকে কোয়ার্টার ফাইনালে কল্পনা করতে পারেননি কেউই। অনেক চমকের রাশিয়া বিশ্বকাপে চমক লাগিয়ে কোয়ার্টারে উঠে গেছে ইংল্যান্ড ও সুইডেন। দুই দলের লড়াইয়ের আগে একবার পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বুলানো যাক।
অনুশীলনে ইংল্যান্ড

বিশ্বকাপ শুরুর আগে হয়তো দল দুটিকে কোয়ার্টার ফাইনালে কল্পনা করতে পারেননি কেউই। অনেক চমকের রাশিয়া বিশ্বকাপে চমক লাগিয়ে কোয়ার্টারে উঠে গেছে ইংল্যান্ড ও সুইডেন। দুই দলের লড়াইয়ের আগে একবার পরিসংখ্যানের দিকে চোখ বুলানো যাক।

হেড টু হেড:

১) এই নিয়ে বিশ্বকাপে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড ও সুইডেন। আর সব মিলিয়ে ২৫ তম বারের মতো।

২) আগের ২৪ বারের দেখায় দুই দলের জয়ের পাল্লা প্রায় সমান সমান। ইংলিশরা জিতেছে আটবার, সুইডেন জিতেছে সাতবার। আর ড্র হয়েছে বাকি নয় ম্যাচ।

৩) বিশ্বকাপে দুইবার মুখোমুখি হয়ে কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। ২০০২ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচের ফলাফল ছিল ১-১, আর ২০০৬ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে স্কোরলাইন ছিল ২-২।

৪) দুই দল শেষবার মুখোমুখি হয়েছে ২০১২ সালের নভেম্বরে এক প্রীতি ম্যাচে। ইব্রাহিমোভিচের চার গোলের সুবাদে সুইডেন জিতেছিল ৪-২ গোলে।

ইংল্যান্ড:

১) এই নিয়ে নবমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলছে ইংল্যান্ড।

২) আটবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে মাত্র দুইবার সেমিফাইনালে উঠতে পেরেছে থ্রি লায়ন্সরা, ১৯৬৬ ও ১৯৯০ বিশ্বকাপে।

৩) ২০০৬ বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইকুয়েডরকে ১-০ গোলে হারানোর পর থেকে কোন মেজর টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জিততে পারেনি ইংল্যান্ড।

৪) চার ম্যাচ খেলে এখনও একটি ম্যাচেও ক্লিন শীট রাখতে পারেনি ইংল্যান্ড। টুর্নামেন্টে টিকে থাকা বাকি ছয় দল অন্তত একটি ম্যাচে হলেও ক্লিন শীট রেখেছে।

৫) রাশিয়া বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত ছয়টি অন টার্গেট শট নিয়েছেন হ্যারি কেইন, গোলে পরিণত করেছেন ছয়টিকেই!

৬) ১৯৯৪ বিশ্বকাপে বুলগেরিয়ার রিস্টো স্টইচকভের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এক বিশ্বকাপে পেনাল্টি থেকে তিনটি গোল পেয়েছেন হ্যারি কেইন।

সুইডেন:

১) ১৯৯৪ বিশ্বকাপের পর প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে নামবে সুইডেন।

২) এর আগে চারবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে তিনবারই সেমিফাইনালে উঠেছে দলটি (১৯৩৮, ১৯৫৮ ও ১৯৯৪ বিশ্বকাপ)। একমাত্র ১৯৩৪ বিশ্বকাপে হেরে গিয়েছিল জার্মানির কাছে।

৩) এর আগে মাত্র দুইবার বিশ্বকাপে টানা তিন ম্যাচে জিতেছে দলটি, ১৯৫০ ও ১৯৫৮ বিশ্বকাপে।

৪) এই বিশ্বকাপে গোটা সুইডেন দল মিলে করেছে ছয় গোল, আর ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন একাই করেছেন ছয় গোল।

৫) এই বিশ্বকাপে করা ছয় গোলের মধ্যে পাঁচটিই ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে করেছে সুইডেন। কেবল গ্রুপ পর্বে জার্মানির বিপক্ষে গোলটি এসেছিল ম্যাচের প্রথমার্ধে।

৬) এই বিশ্বকাপে ১৩ টি শট নিয়ে একটিও গোল করতে পারেননি সুইডিশ স্ট্রাইকার মার্কাস বার্গ। এই বিশ্বকাপে খেলা আর কোন খেলোয়াড় এতগুলো শট নিয়েও গোলশূন্য থাকেননি। 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago