ইউরোপে বিশ্বকাপ হলেই যেন চুপসে যায় লাতিন শক্তি

Neymar-Messi

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে- এই তিন লাতিন দল মিলেই বিশ্বকাপের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে মোট নয়বার। বিশ্বকাপ যেখানেই হোক, লাতিন দলগুলো, বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থাকে অন্যতম দুই ফেভারিট। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বকাপ ইউরোপে ফিরলেই চুপসে যায় লাতিন ফেভারিটদের সব শক্তি।

এবারের বিশ্বকাপের দিকেই তাকান। কোয়ার্টার ফাইনালের আট দলের মধ্যে লাতিন দল ছিল মাত্র দুটি। আট দল থেকে টুর্নামেন্টে যখন বাকি চার দল, সেখানে লাতিন দল নেই একটিও! দর্শকদের সর্ব ইউরোপীয় সেমিফাইনাল দেখার সুযোগ করে দিয়ে বাড়ির পথ ধরেছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সহ লাতিনের পাঁচ দলই।

তবে এমন দৃশ্য একেবারে নতুন কিছুও নয়। ইউরোপের মাটি থেকে লাতিনের কোন দল বিশ্বকাপ জিতে ফিরেছে, এমন ঘটনা দেখা গেছে মাত্র একবারই। ১৯৫৮ সালে সুইডেন থেকে ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতে ফিরেছিল ১৭ বছর বয়সী পেলের অভাবনীয় পারফরম্যান্সের জোরে। সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে পেলে পাঁচ গোল না করলে হয়তো পাঁচ শিরোপার মধ্যে প্রথমটি জেতা হতো না ব্রাজিলের।

কিন্তু এরপর কেটে গেছে দীর্ঘ ৬০ বছর, ব্রাজিলের কীর্তির পুনরাবৃত্তি করে দেখাতে পারেনি আর কোন লাতিন দল। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের পর ইউরোপে বিশ্বকাপের আসর বসেছে আরও সাত বার (১৯৬৬, ১৯৭৪, ১৯৮২, ১৯৯০, ১৯৯৮, ২০০৬ ও ২০১৮), একবারও শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে পারেনি কোন লাতিন দল।

শিরোপা জেতা তো দূরে থাক, এই সাত আসরের মধ্যে কোন লাতিন দলের ফাইনালে ওঠার ঘটনাই মাত্র দুটি! ১৯৯০ বিশ্বকাপে উঠেছিল আর্জেন্টিনা, আর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে উঠেছিল ব্রাজিল। সেমিফাইনালে ওঠার চিত্র তো আরও করুণ। এই সাত আসরের মোট ২৮ সেমিফাইনালিস্টের মধ্যে লাতিন দলের সংখ্যা মাত্র তিনটি! ইউরোপের মাটিতে লাতিন দলগুলোর অসহায়ত্বের পরিস্থিতি বোঝাতে এর চেয়ে ভালো বোধহয় আর কিছু হতে পারে না।

এবারের আগে ইউরোপের মাটিতে শেষ বিশ্বকাপ হয়েছিল ২০০৬ সালে, জার্মানিতে। সেবারও সেমিফাইনালে খেলা চার দলের মধ্যে ছিল না কোন লাতিন দল। ফুটবলীয় ঐতিহ্যের দিক থেকে এগিয়ে থাকতে পারে, তবে বর্তমান শক্তিমত্তার বিচারে ইউরোপিয়ান দলগুলোর তুলনায় লাতিন দলগুলো যে বেশ পিছিয়ে পড়ছে, পরিসংখ্যানই দিচ্ছে সেই সাক্ষ্য। 

Comments

The Daily Star  | English

New polls timing: BNP upbeat, process irks Jamaat, NCP

The interim government’s revised election timeline with certain conditions has stirred cautious optimism as well as raised questions among  political parties.

9h ago