'লজ্জাজনক... এমনটা পাকিস্তান ও ব্রিটিশ আমলেও ঘটেনি'
শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন ও হয়রানী বন্ধ, হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে পদযাত্রা করেছেন বিভিন্ন বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষক।
নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকবৃন্দ-ব্যানারে আজ সকাল ১১টার দিকে এই পদযাত্রা হয়। শিক্ষকরা ঢাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে পদযাত্রা করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। তারা সেখানে পৌনে এক ঘণ্টা অবস্থান করেন।
শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন ও অধ্যাপক ফাহমিদুল হক।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও অবিশ্বাস্য। এটা পাকিস্তান বা ব্রিটিশ আমলে ঘটেনি।’
ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের ঢাবি সংবাদদাতা জানান, শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ থেকে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার, আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার ছাত্রদের মুক্তির দাবি জানান শিক্ষকরা। সেই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বন্ধের দাবি জানান তারা।
একই দাবিতে ঢাবি ক্যাম্পাসে আজ বিক্ষোভ মিছিল করেছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর জোট প্রগতিশীল ছাত্র জোট। বিক্ষোভ শেষে তারা উপাচার্য বরাবর চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে।
এর আগে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আটক ও তাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে অভিভাবক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত ৩ জুলাই জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ এবং সাবেক ছাত্রনেতা বাকী বিল্লাহকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। এসময় অধ্যাপক ফাহমিদুল হককে লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অবশ্য ৪০ মিনিট পর রেহনুমা আহমেদ ও বাকী বিল্লাহকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
Comments