আলো দেখলো ৮ শিশু

এক এক করে আট শিশু দেখলো আলোর মুখ। দুই সপ্তাহের বেশি সময় থাইল্যান্ডের উত্তরে অবস্থিত থাম লুয়াং গুহায় ১২ শিশু ও তাদের ফুটবল কোচ আটকে থাকার পর দ্বিতীয় দফা অভিযানে আজ (৯ জুলাই) আরও চার শিশুকে উদ্ধার করা হলো।
thai cave victim rescuers
৯ জুলাই ২০১৮, উদ্ধারকৃত শিশুদের রয়েল থাই পুলিশের হেলিকপ্টারে করে চিয়াং রাই প্রদেশে একটি সামরিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়। ছবি: রয়টার্স

এক এক করে আট শিশু দেখলো আলোর মুখ। দুই সপ্তাহের বেশি সময় থাইল্যান্ডের উত্তরে অবস্থিত থাম লুয়াং গুহায় ১২ শিশু ও তাদের ফুটবল কোচ আটকে থাকার পর দ্বিতীয় দফা অভিযানে আজ (৯ জুলাই) আরও চার শিশুকে উদ্ধার করা হলো।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স দেশটির চিয়াং রাই প্রদেশ থেকে এ খবর জানায়।

সেই প্রত্যক্ষদর্শী প্রদেশটিতে অবস্থিত থাম লুয়াং গুহা থেকে নতুন করে চারজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসকদের সাহায্যে তাদেরকে অ্যাম্বুল্যান্সে নিতে দেখেছেন।

গতকাল (৮ জুলাই) পরিচালিত অভিযানে চার শিশুকে উদ্ধার করা হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা হাসপাতালে শিশুদের অবস্থা ভালো রয়েছে বলে জানান।

দেশটির নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা জানান, পঞ্চম শিশুকে আজ সকালে উদ্ধার করা হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর আরও তিন শিশুকে উদ্ধার করার খবর পাওয়া যায়। তবে উদ্ধারকৃত সেই তিন শিশুর পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদ সংস্থাটি।

উদ্ধার অভিযানের প্রধান নারোংসাক ওসোত্তানাকরন বলেন, পরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে জানানো হবে।

উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডের ‘ওয়াইল্ড বোরস’ ফুটবল দলের খুদে খেলোয়াড়রা ও তাদের কোচ গত ২৩ জুন গুহাটিতে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়ে যায়। এরপর, বৃষ্টির কারণে গুহার ভেতরে পানি জমে যাওয়ায় গত দুই সপ্তাহ ধরে তারা সেখানেই বন্দী হয়ে পড়ে।

গত ২ জুলাই ব্রিটিশ ডুবুরিরা গুহাটির কয়েক কিলোমিটার ভেতরে ১৩ জনকে খুঁজে বের করেন। তারপর থেকে বিপদসংকুল সেই গুহা থেকে আটকা পড়া শিশুদের উদ্ধারের জন্যে অভিযান চালানো হচ্ছে। এগারো থেকে ১৬ বছর বয়সী সেই শিশুদের জন্যে খাবার ও অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

কর্তৃপক্ষ জানায়, পুরো অভিযান শেষ হতে আরও তিন বা চারদিন লেগে যেতে পারে। তবে দেশটিতে বর্ষা মৌসুম শুরু হয়ে যাওয়ায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কাও দেখা দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago