লুকাকু না এমবাপে, কে হবেন হিরো?

একজন নিজ দলের মূল স্ট্রাইকার, নম্বর নাইন। আরেকজনের গায়ে নম্বর নাইনের জার্সি নেই বটে, তবে কাজ করে যাচ্ছেন মূল স্ট্রাইকারের মতোই। বেলজিয়ামকে গোল এনে দেয়ার মূল দায়িত্বটা যেমন রোমেলু লুকাকুর, তেমনি ফ্রান্সও গোল এনে দেয়ার জন্য তাকিয়ে থাকবে কিলিয়ান এমবাপের দিকেই। দুজনের এই লড়াইয়ে কে জিতবেন আজ?

পরিসংখ্যান বলছে, লুকাকুর তুলনায় চাপটা বেশি থাকবে এমবাপের উপরেই। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে চার গোল করেছেন লুকাকু, কিন্তু বেলজিয়াম শুধু এককভাবে তার উপরেই নির্ভর করে নেই। পাঁচ ম্যাচে বেলজিয়ামের হয়ে গোল করেছেন নয়জন ভিন্ন ভিন্ন খেলোয়াড়, এটিই প্রমাণ করে গোল করার চাপটা লুকাকুকে একা নিতে হচ্ছে না।

অপরদিকে ফ্রান্সের অবস্থা বেলজিয়ামের মতো নয়। এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টে ফ্রান্সের মোট গোলের বেশিরভাগই করেছেন এমবাপে আর গ্রিজম্যান। গ্রিজম্যান যদি কোন কারণে গোল না পান, তাহলে গোল করার দায়িত্বটা এমবাপের কাঁধেই এসে পড়তে পারে। ১৯ বছর বয়সী এমবাপে সেই চাপ কতটা সামলাতে পারবেন, সেটা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ থেকেই যায়।

তবে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে জোড়া গোল করে এমবাপে বুঝিয়ে দিয়েছেন, বয়সে কম হলেও দায়িত্ব নিতে ঘাবড়ান না তিনি। মূলত ওই ম্যাচের পারফরম্যান্সই এমবাপেকে আলোয় নিয়ে এসেছে। মেসি ও রোনালদো যেখানে চারটি বিশ্বকাপ খেলেও নকআউট পর্বে কোন গোল করতে পারেননি, এমবাপে সেখানে নিজের প্রথম নকআউট ম্যাচেই করেছেন জোড়া গোল। এর আগে গ্রুপ পর্বে আরেক গোল মিলিয়ে নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই তিন গোল করে ফেলেছেন, যে কীর্তি পেলে ছাড়া আর কোন টিনএজার ফুটবলারের নেই।

অপরদিকে লুকাকুও মুখিয়ে থাকবেন নকআউট ম্যাচে নিজের গোলের খাতা খুলতে। এখনও পর্যন্ত যে চার গোল করেছেন সবকয়টিই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। এছাড়া গোল্ডেন বুটের লড়াইয়েও ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইনের চেয়ে পিছিয়ে পড়েছেন দুই ধাপ। ফাইনালের আগেই নিশ্চয়ই কেইনের সাথে ব্যবধান কমিয়ে আনতে চাইবেন এই ম্যানচেস্টার সিটি স্ট্রাইকার।

দিনশেষে যিনিই পারফর্ম করুন, লাভবান হবে তার দলই। তারুণ্যের কেতন ওড়ানো এমবাপে, নাকি জীবনের কঠিনতম দিক দেখে এসে সাফল্যের স্বাদ পাওয়া লুকাকু, ম্যাচ শেষে কে হাসবেন আজ?

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

3h ago