শীর্ষ খবর

৩ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী রিমান্ডে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের দুটি পৃথক মামলায় তিনজন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
quota leaders
১০ জুলাই ২০১৮, কোটা সংস্কার আন্দোলনের দুজন নেতাকে আদালতে হাজির করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। ছবি: প্রবীর দাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ও পুলিশের ওপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের দুটি পৃথক মামলায় তিনজন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীকে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

অভিযুক্তরা হলেন জসীম উদ্দিন আকাশ, মশিউর রহমান এবং ফারুক হোসেন। তারা বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক। সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে এই সংগঠনটি আন্দোলন করে যাচ্ছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী অভিযুক্তদের আদালতে উপস্থিত করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে মহানগর হাকিম আব্দুল্লাহ আল মাসুদ আজ (১০ জুলাই) এই আদেশ দেন।

জসীম ও মশিউরকে গত ৯ এপ্রিল উপাচার্যের বাসায় হামলার মামলায় এবং ঢাকায় বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

১১ এপ্রিল দায়ের করা মামলায় ফারুককে গ্রেফতার দেখিয়ে গত ৩ জুলাই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, গ্রেফতারকৃত অপর আন্দোলনকারী তরিকুল ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করা হয়নি। তরিকুলের উপস্থিতিতে আগামী ১৭ জুলাই তার রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানা গেছে।

গোয়েন্দা পুলিশ গত ২ জুলাই তরিকুল এবং জসীমকে গ্রেফতার করার পরের দিন আদালতে হাজির করে। এরপর সেদিনই তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। জসীম অসুস্থ থাকায় দুজন ব্যক্তির সহায়তায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

২ জুলাই অপর আন্দোলনকারী মুহাম্মদ রাশেদ খানকে রাজধানীর ভাষানটেক থেকে গ্রেফতার করার পর পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।

একই দিনে, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মারধর করার পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। তাকেও উপাচার্যের বাসায় ভাঙচুরের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন এবং ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া গ্রেফতারকৃত তিন আন্দোলনকারীর জামিনের জন্যে আবেদন করেছেন। তাদের রিমান্ড বাতিলের আবেদন জানিয়ে আইনজীবীরা বলেছেন আন্দোলনকারীদেরকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Agency exists only in name

In December 2018, when the Digital Security Agency was formed under the Digital Security Act, it was hoped that the cybersecurity of important government sites with critical citizen data such as the Election Commission’s national identity database and the Office of the Registrar of Birth and Death  would be robust.

8h ago