পগবার প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফ্রান্স কোচ

গোল করেননি, সতীর্থকে দিয়ে গোল করাতেও পারেননি। তবুও পল পগবার প্রশংসা ঝরে পড়েছে ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশমের মুখে। পুরো ম্যাচে অসাধারণ খেলার জন্য কোচের বাহবা পেয়েছেন এই মিডফিল্ডার।
গতকালের ম্যাচে যেন পুরো মাঠজুড়ে দাপিয়ে খেলেছেন পগবা। আক্রমণে তিনটি সুযোগ তৈরি করেছেন, চারটি ট্যাকলও করেছেন। নিজের পারফরম্যান্স দিয়েই কোচের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছেন তিনি। ম্যাচশেষে মিডিয়ার সামনে পগবার পারফরম্যান্সে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন দেশম, ‘বলতে গেলে সবার কথাই বলতে হয়, তবে আজকে পগবা যেন পুরো মাঠেই ছিল। শুধু আক্রমণেই নয়, রক্ষণেও সমানভাবে অবদান রেখেছে। আমার মনে হয় বেলজিয়াম কোচ পগবাকে আটকে রাখার জন্য ফেলাইনিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। যে কারণে আজ বল নিয়ে খুব বেশি স্বাধীনতা পায়নি সে। কিন্তু সে জানত এরকম পরিস্থিতিতে তার কী করা উচিত। বল পুনরুদ্ধারের সময় অনেক বেশি সৃজনশীলতা দেখিয়েছে সে, ওয়ান-অন-ওয়ান গুলোতেও ভালো পারফর্ম করেছে।’
আগের চেয়ে নিজের দায়িত্বটা পগবা এখন অনেক ভালো বোঝেন বলেও মতামত দেশমের, ‘এই দলে খেলে খেলে ও আরও পরিণত হয়েছে। ও দারুণ সপ্রতিভ একজন খেলোয়াড়। ওর কী করণীয় সেটা ও খুব ভালো করে জানে। মাঠে ও যা করে, সেটা এই দলে ওর গুরুত্বেরই প্রমাণ।’
২০ বছর পর আবার শিরোপা জেতার খুব কাছাকাছি এসেছে লা ব্লুজরা। ১৯৯৮ এর সেই দলেও ছিলেন দেশম, অধিনায়ক হিসেবে। আর এবার আছেন কোচ হিসেবে। দুই দলের মধ্যে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন প্রথম ফরাসি কোচ হিসেবে ফ্রান্সকে দুটো মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে তোলা দেশম? ফ্রান্স কোচ এই ধরনের কোন তুলনাতে যেতেই রাজি হননি, ‘আমি তুলনা করতে পারি না। ২০ বছর, এমনকি ১০ বছর আগের ঘটনা নিয়েও খেলোয়াড়দের সাথে আলোচনা করতে পারি না আমি। ইতিহাস তো আর মুছে ফেলা সম্ভব নয়, তবে আমরা অতীতে না বেঁচে বর্তমানে থাকতে চাই। পেছনে তাকিয়ে আপনি সামনে এগোতে পারবেন না।’
ফাইনালে জিততে পারলেই মারিও জাগালো ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ারের পর তৃতীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে খেলোয়াড় ও কোচ দুই ভূমিকাতেই বিশ্বকাপ জয়ের এলিট ক্লাবে ঢুকে যাবেন দেশম।
Comments