আঁতুড়ঘরে ফেরা হলো না বিশ্বকাপের
ম্যাচের আগে প্রিন্স হ্যারি বলেছিলেন, বিশ্বকাপ এবার নিশ্চিতভাবেই ঘরে ফিরছে। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে পূর্ণতা পাবে বিশ্বকাপ, এমনটাই বোঝাতে চেয়েছিলেন ব্রিটিশ রাজপুত্র। কিন্তু বিশ্বকাপের আর আঁতুড়ঘরে ফেরা হলো না। এগিয়ে গিয়েও ২-১ গোলের পরাজয়ে ফাইনালের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে ইংলিশরা।
কিরেন ট্রিপিয়ারের অসাধারণ ফ্রিকিক গোলে এগিয়ে গেলেও সেই অগ্রগামিতা ধরে রাখতে পারেনি ইংলিশরা। বরং আস্তে আস্তে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়ার হাতে। এর পেছনে মূলত খেলোয়াড়দের অনভিজ্ঞতা ও এরকম বড় ম্যাচে খেলার অনভ্যস্ততাকেই দায়ী করেছেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট, ‘ক্রোয়েশিয়া দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলেছে। আমরাও বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে পারিনি। আমাদের অনেক খেলোয়াড়ই এরকম বড় ম্যাচে এর আগে কখনো খেলেনি। এরকম ম্যাচ না খেললে তো আপনি বুঝতে পারবেন না আপনার খেলোয়াড়েরা এরকম পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।’
তবে নিজের এই তরুণ দল নিয়ে গর্বেরও কমতি নেই ইংলিশ ম্যানেজারের। অন্যতম অনভিজ্ঞ স্কোয়াড নিয়ে এবার খেলতে এসেছিল থ্রি লায়ন্সরা। ২৩ জনের স্কোয়াডের মধ্যে মাত্র দুজনেরই আগে বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল। অনভিজ্ঞ সেই তরুণরাই এত বছর পর দেশকে সেমিফাইনালে তুলেছে। সময় দিলে এই তরুণরাই দেশকে আরও বড় গৌরব এনে দেবে বলে বিশ্বাস সাউথগেটের, ‘আমরা জানতাম আমাদের দলটা টুর্নামেন্টের সবচেয়ে অনভিজ্ঞ দলগুলোর একটি। এরকম টুর্নামেন্টে আরও খেলার মধ্য দিয়েই এই ছেলেগুলো অভিজ্ঞ হয়ে উঠবে। খেলোয়াড়েরা যেভাবে খেলেছে, তাতে আমি সত্যিই খুব গর্বিত। দর্শকদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমি নিশ্চিত, তারাও গর্বিত।’
তবে দিনশেষে মনের আক্ষেপটা ঠিকই বেরিয়ে এসেছে সাউথগেটের কথায়। অনভিজ্ঞ স্কোয়াড হলেও এতদূর এসে ফাইনাল খেলার প্রত্যাশাই করেছিলেন তিনি, ‘দল হিসেবে আমরা অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে যদি আমাকে বলা হতো আমরা সেমিফাইনালে খেলব, আমি হয়তো এটিকে সাফল্য হিসেবেই মেনে নিতাম। কিন্তু টুর্নামেন্ট শুরুর পর আমরা সত্যিই বিশ্বাস করেছিলাম, আমরা আরও অনেক দূর যেতে পারি।’
ফাইনালে উঠতে না পারলেও তৃতীয় হওয়ার সুযোগটা থেকেই যাচ্ছে ইংলিশদের সামনে। আগামী শনিবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হবে ’৬৬ এর চ্যাম্পিয়নরা।
Comments