নিজেদের ফেভারিট মানছে না ফ্রান্স

এক দলকে ফেভারিট মানা হচ্ছে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই, আরেক দল সবাইকে চমকে উঠে এসেছে ফাইনাল পর্যন্ত। এক দল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, আরেক দল ফাইনালেই উঠলো প্রথমবারের মতো। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে তো ফ্রান্সেরই ফেভারিট তকমা পাওয়ার কথা। কিন্তু পল পগবা এসব মানতে রাজি নন। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ফেভারিট মানছেন না এই ফরাসি মিডফিল্ডার।
France Training
ফাইনালের আগে প্রস্তুত হচ্ছে ফ্রান্স। ছবি: রয়টার্স

এক দলকে ফেভারিট মানা হচ্ছে বিশ্বকাপ শুরুর আগে থেকেই, আরেক দল সবাইকে চমকে উঠে এসেছে ফাইনাল পর্যন্ত। এক দল সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন, আরেক দল ফাইনালেই উঠলো প্রথমবারের মতো। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে তো ফ্রান্সেরই ফেভারিট তকমা পাওয়ার কথা। কিন্তু পল পগবা এসব মানতে রাজি নন। ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ফেভারিট মানছেন না এই ফরাসি মিডফিল্ডার।

গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে এই ফেভারিট তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছেন পগবা, ‘আমি আমাদেরকে ফেভারিট হিসেবে দেখছি না। বিশ্বকাপের ফাইনালে কোন ফেভারিট থাকে না। মানসিক দিক থেকে ক্রোয়েশিয়া খুবই শক্তিশালী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও তারা ফিরে এসেছে। তারা হয়তো আমাদের চেয়ে নব্বই মিনিট অতিরিক্ত খেলেছে (নক আউট পর্বের তিন ম্যাচে অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিট করে), কিন্তু সেটা ফাইনালে কোন প্রভাব ফেলবে না। যে দল বেশি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ থাকবে, তারাই জিতবে।’

ফেভারিট তত্ত্ব ভুলে গিয়ে নিজেদের খেলার প্রতিই মনোযোগী হতে বলছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডার, ‘আমাদের পা মাটিতে রাখতে হবে, নিজেদের খেলাটাই খেলতে হবে। কে ফেভারিট এসব নিয়ে ভাবলে চলবে না। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনেকেই আমাদের নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। আমরা এখনও কিছুই জিতিনি, কিন্তু আমরা এই বিশ্বকাপটা জিততে চাই।’

সেমিফাইনালের জয়ের নায়ক স্যামুয়েল উমতিতিও সুর মেলাচ্ছেন পগবার সাথে, ‘আমরা কেবল মাত্র আমাদের পারফরম্যান্স নিয়েই ভাবছি। নকআউট পর্ব জুড়ে যেভাবে দল হয়ে খেলেছি আমরা, ফাইনালেও ঠিক সেভাবেই খেলতে হবে। ফেভারিট হওয়া নিয়ে ভাবছি না আমরা। মাটিতেই পা রাখছি আমরা, অতি আত্মবিশ্বাসী হচ্ছি না। টুর্নামেন্টে আর একটি মাত্র ম্যাচই বাকি, আর এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ।’

শেষ ষোলোতে লিওনেল মেসি, কোয়ার্টার ফাইনালে লুইস সুয়ারেজ ও সেমিফাইনেল থমাস ভারমালেন (যদিও তিনি একাদশে ছিলেন না), নকআউট পর্বের প্রতিটি ম্যাচেই বার্সা সতীর্থের মুখোমুখি হতে হয়েছে উমতিতিকে। ব্যতিক্রম হচ্ছে না ফাইনালেও, ফাইনালে সামনে পাচ্ছেন ইভান রাকিটিচকে। ক্লাব সতীর্থের প্রশংসাই ঝরে পড়লো উমতিতির কণ্ঠে, ‘টেকনিকের দিক থেকে রাকিটিচ অসাধারণ। নব্বই মিনিট তো বটেই, আরও বেশি সময় ধরে দৌড়াতে পারে সে। মাঝমাঠে মদ্রিচের সাথে ওর রসায়ন দেখার মতো। ওরা দুজনেই পুরো ম্যাচটা পরিচালনা করে। ফাইনালে আমরা ওদের সেই স্বাধীনতাটা দিতে চাই না।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago