গায়ানার ‘দেশি' কন্ডিশনেই কাজটা সেরে ফেলতে চায় বাংলাদেশ
গায়ানার উইকেট তো বটেই, ওখানকার হাওয়া, ঘাস-মাটিও নাকি বাংলাদেশের মতই। গায়ানায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের শতভাগ সাফল্য। সেই ২০০৭ বিশ্বকাপের সুপার এইটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর পর এবার টেস্ট সিরিজে বিপর্যস্ত হয়েও গায়ানায় গিয়ে ওয়ানডেতে ঘুরে দাঁড়ানো। মাশরাফি মর্তুজার দলের কপাল ভালো। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচটাও একই ভেন্যুতে। আর এই চেনা কন্ডিশনেই সিরিজ জেতার কাজটা সেরে ফেলতে চান সাকিব আল হাসান।
প্রথম ওয়ানডেতে দলের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সাকিবের। তামিম ইকবালের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়ার পথে খেলেছেন ৯৭ রানের ইনিংস। উইকেটের হাবভাব বুঝে মেজাজ মর্জি ঠিক করেছিলেন। সেভাবেই ব্যাট করে দলকে নিরাপদে পৌঁছে দেন। বল হাতে অবদান রাখার আগেই ম্যাচ গ্রিপে এসেছিল বাংলাদেশের।
বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচটা হবে ফ্লাডলাইটের আলোয়। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায়। তবে কৃত্রিম আলোয় হলেও মাঠ, উইকেট তো থাকছে একই। আর সেখানেই আশা দেখছেন সাকিব, ‘পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভেতর গায়ানার উইকেটটাই আছে যেখানে স্পিন সহায়ক উইকেট হয়। আর স্পিন সহায়ক না হলেও বাংলাদেশের মতো হয়। দেখবেন যে ঘাস, মাটি এগুলোও দেখতে বাংলাদেশের মতই। আমাদের জন্য এটা ইতিবাচক দিক। এখানে দুটো ম্যাচ খেললাম দুটোই জিতলাম (অন্যটি ২০০৭ বিশ্বকাপে)। কাল আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ খেলা আছে ওটা নিয়েই ভাবছি।’
সিরিজের পরের ম্যাচটি সেন্ট কিটসে। সেখানকার পিচে রান থাকে প্রচুর, মাঠ ছোট হওয়ায় ক্যারিবিয়ান হার্ড হিটার ব্যাটসম্যানরা পেতে পারেন বাড়তি সুবিধা। অতসব ঝামেলায় না গিয়ে গায়ানাতেই তাই কাজটা সেরে রাখার দিকে জোর নজর বাংলাদেশের, ‘দলের তো চেষ্টা থাকেই যেন প্রতিটা ম্যাচ জিততে পারি। আমরা যখন খেলতে নামি সব ম্যাচই জেতার চেষ্টা থাকে। কাল আমাদের অবশ্য আরও বেশি চেষ্টা থাকা লাগব। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফিরে আসার জোর চেষ্টা চালাবে। সেন্ট কিটসে আমার মনে হয় না খুব বেশি ব্যবধান হবে। ভাল ব্যাটিং উইকেট হবে। ওখানে রান সব সময় বেশি হয়, গ্রাউন্ডটা ছোট। সেজন্য ওদের সুবিধাটা বেশি থাকবে। কাজেই আমাদের চেষ্টা এখানেই যতটা সম্ভব ভাল করতে পারি।’ ’
Comments