মেয়েদের ছক্কা মারায় পটু বানাতে চান সহকারী কোচ

মেয়েদের ক্রিকেটে গত কয়েকমাসে এসেছে চোখে লাগার মতো উন্নতি। একসময় ব্যাটিংয়ে ভুগতে থাকা বাংলাদেশের মেয়েরা এখন ব্যাট হাতেও পটু। দুর্বলতা আছে পাওয়ার হিটিংয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাই বড় শটের স্কিল বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছেন সহকারী কোচ দেবিকা পালশিখর।
Devika Palshikar
বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সহকারী কোচ দেবিকা পালশিখর

মেয়েদের ক্রিকেটে গত কয়েকমাসে এসেছে চোখে লাগার মতো উন্নতি। একসময় ব্যাটিংয়ে ভুগতে থাকা বাংলাদেশের মেয়েরা এখন ব্যাট হাতেও পটু। দুর্বলতা আছে পাওয়ার হিটিংয়ে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে তাই বড় শটের স্কিল বাড়ানোর দিকে নজর দিচ্ছেন সহকারী কোচ দেবিকা পালশিখর।

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ অঞ্জু জেইন ছুটি কাটিয়ে এখনো দলে যোগ দেননি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য মেয়েদের নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছেন সহকারি কোচ দেবিকা। আপাতত ফিটনেস আর ফিল্ডিং ট্রেনিং হলেও পাওয়ার হিটিং নিয়ে আলাদা চিন্তা তার, ‘যদি শেষ কয়েকটি টুর্নামেন্ট দেখেন, প্রতি ম্যাচেই দেখবেন দুই একটি করে ছয় এসেছে। এখানে দুই তিন জন ব্যাটার আছে যাদের সেই সামর্থ্য আছে।’

বড় শট মেরে সীমানা পার করতে পারবেন কিনা এই নিয়ে আগে দুনোমনো থাকত মেয়েদের। দেবিকার মতে এখন সেটা অনেকটাই কাটিয়ে তুলেছেন নতুন কোচ, ‘তারা হয়তো আত্মবিশ্বাসের দিক থেকে কিছুটা পিছিয়ে ছিল। আমি জানি না আগের কোচ তাদের কি দিয়েছে, এখন প্রধান কোচ (অঞ্জু জেইন) তাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। এবং তারা ভালো করছে। প্রতি ম্যাচেই আমরা দুই-তিনটা করে ছয় পাচ্ছি মেয়েদের ক্রিকেট থেকে, যেটা ভালো দিক।’

প্রতি ম্যাচে অন্তত ছয়-সাতটা করে ছক্কা মারার পরিকল্পনা করে এগুচ্ছেন বলেও জানান দেবিকা, ‘আমরা এই বিষয়ে ফোকাস করছি। আমরা যদি ম্যাচে ছয়-সাতটা করে ছয় পাই তাহলে দারুণ হবে। কিন্তু আমি মনে করি না যে তাদের পাওয়ার হিটিংয়ে দুর্বলতা আছে। এখানে মানসিকতাটাই আসল।’

পাওয়ার হিটিংয়ে ফল পেতে দরকার ভালো ফিটনেস। ঈদের আগ পর্যন্ত তাই ফিটনেস বাড়ানোর কাজ করা হবে। ঈদের পর শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং। সেখানে প্রাধান্য ঠিক করে নিয়েছেন দেবিকা, ‘আমরা এই দলের ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করব। প্রথম ছয় ওভারের ব্যবহারটা ভালো করতে চাই আমরা। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট আছে, এইসব আসে  ফিটনেস থেকে। এই জন্যই এই ক্যাম্প গুরুত্বপূর্ণ। ফিটনেস নিয়ে কাজ হচ্ছে এখানে। আমরা তাদের ব্যাটিং-বোলিং নিয়ে চিন্তিত নই।’

‘আমরা তাদের ফিটনেস নিয়েই বেশি ভাবছি, এটা রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে কাজে লাগে। আপনি ফিট থাকলে আটোমেটিকালি আপনি আত্মবিশ্বাসী অনুভব করবেন। সিঙ্গেলকে ডাবলে পরিণত করায় আমরা পিছিয়ে। এইসব নিয়েই বেশি কাজ করা হবে। ’

 

 

 

Comments