অবশেষে মাদ্রিদে ফিরছেন কোর্তোয়া
অনেক দিন থেকেই গুঞ্জন চলছিল রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দিবেন বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস জয়ী গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। অবশেষে সে গুঞ্জনই সত্যি হচ্ছে। চেলসি ছেড়ে রিয়ালে নাম লেখাচ্ছেন এ বেলজিয়ান গোলরক্ষক। দুই ক্লাবই অফিশিয়াল বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে বিষয়টি।
বুধবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় দুই ক্লাবের মধ্যে চুক্তি হয়। রিয়ালের সঙ্গে ছয় বছরের জন্য চুক্তি করবেন কোর্তোয়া। তাকে পেতে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হচ্ছে রিয়ালকে। রিয়াল থেকে মাতেও কোকাভিচ ধারে চেলসিতে যোগ দেওয়ায় এ লেনদেনে অগ্রগতি হয়।
টুইটারে রিয়াল মাদ্রিদ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘থিবো কোর্তোয়ার দলবদলের ব্যাপারে একমত হয়েছে চেলসি ও রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের সঙ্গে তার ৬ বছরের জন্য চুক্তি করা হবে। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে তার। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে তাকে।’
মাদ্রিদে ফিরতে পেরে দারুণ খুশি কোর্তোয়াও, ‘মাদ্রিদে আমি তিনটি দারুণ বছর কাটিয়েছি। আমি যখন বড় হই তখন আমি ওই ক্লাবে ছিলাম। যখন আমি ক্লাব ছাড়ি তখন আমি কেঁদেছিলাম। চেলসি আমার হৃদয়ে সবসময় জায়গা নিয়ে থাকবে। আমি আমার সতীর্থ ও সমর্থক সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। এতো বড় ক্লাবে যোগ দিয়ে আমার স্বপ্ন সত্যি হলো।’
এদিকে কর্তোয়া দল ছাড়ায় গোলরক্ষকের ঘাটতি পোষাতে অ্যাতলেটিকো বিলবাওর গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগাকে কিনছে চেলসি। তাকে কিনতে নতুন রেকর্ড গড়তে হচ্ছে তাদের। ৭১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করছে দলটি। কদিন আগেই রেকর্ড ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে রোমা থেকে অ্যালিসন বেকারকে কিনেছিল লিভারপুল।
রাশিয়া বিশ্বকাপ চলাকালীন সময় থেকেই জোরালো গুঞ্জন রিয়ালে যাচ্ছেন কোর্তোয়া। আসি আসি করে দিন এগিয়ে গেলেও এ চুক্তিতে আগ্রহ দেখাচ্ছিল না চেলসি। তবে কর্তোয়ার আগ্রহের কারণেই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েছে ইংলিশ জায়ান্টরা। কদিন আগেই কর্তোয়ার এজেন্ট বলেছিলেন, মানবিক কারণেও কর্তোয়াকে ছেড়ে দেওয়া উচিৎ চেলসির।
গেঙ্ক থেকে ২০১১ সালের গ্রীষ্মে চেলসিতে যোগ দেন কোর্তোয়া। যোগ দেওয়ার পরই ধারে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদে যোগ দেন তিনি। ২০১৪ সালে চেলসিতে ফেরার আগ পর্যন্ত ক্লাবের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন এ বেলজিয়ান। আর এ সময়ে তার বেশ বন্ধু গড়ে ওঠে মাদ্রিদে। কর্তোয়ার দল ছাড়ার অন্যতম কারণও এটি।
চেলসির হয়ে মোট ১৫৪টি ম্যাচ খেলেছেন কোর্তোয়া। যার মধ্যে ৫৮ ম্যাচে রেখেছেন ক্লিনশিট। এ সময়ে দুটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাসহ মোট চারটি ট্রফি জিতেছেন এ বেলজিয়ান গোলরক্ষক। আর রাশিয়া বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলেছিলেন তিনি। বেলজিয়ামের সাফল্যের অন্যতম কারিগর তার পারফম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ গোল্ডেন গ্লাভসও জিতেছেন। এর আগে ধারে অ্যাতলেটিকোর হয়ে ১১১টি ম্যাচ খেলেছিলেন এ গোলরক্ষক।
Comments