তাহলে তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে বোলার আনতে হবে: কামরুল

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে নাজেহাল হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ব্যাটসম্যানরা তো ভুগেছেনই, সহায়ক পিচ পেয়েও হতাশ করেছিলেন দলের পেসাররা। দেশে ফিরে কোচ স্টিভ রোডসের পর্যবেক্ষণ, সাদা পোশাকে ভাল করতে দরকার দীর্ঘদেহী ও দ্রুতগতির বোলার। তবে ওই সিরিজে থাকা পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি দ্বিমত করলেন কোচের সঙ্গে।
Kamrul Islam Rabbi
ফাইল ছবি

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজে নাজেহাল হতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। ব্যাটসম্যানরা তো ভুগেছেনই, সহায়ক পিচ পেয়েও হতাশ করেছিলেন দলের পেসাররা। দেশে ফিরে কোচ স্টিভ রোডসের পর্যবেক্ষণ, সাদা পোশাকে ভাল করতে দরকার দীর্ঘদেহী ও দ্রুতগতির বোলার। তবে ওই সিরিজে থাকা পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি দ্বিমত করলেন কোচের সঙ্গে।

ক্যারিবিয়ান সফরে দুই টেস্টই খেলেন কামরুল। তিন ইনিংসে বোলিং পেয়ে নিতে পেরেছেন মাত্র ১ উইকেট। ব্যাটসম্যানদের ধন্দে ফেলার মতো কোন স্পেলও দেখা যায়নি। বাকি পেসারদের দশাও কমবেশি একই। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসাররা যেসব পিচে আগুন ঝরিয়েছেন, বাংলাদেশের সবাই যেন ছিলেন কেবল একাদশ পূরণের জন্য।

সাদা পোশাকে পেসারদের এই দৈন্যদশা দেখে কিছুটা হতাশ নতুন কোচ দেশে ফেরে  জানিয়েছিলেন নিজের চাহিদার কথা, ‘আমাদের যথেষ্ট বোলার রয়েছে। তবে টেস্ট ম্যাচের জন্য আমাদের কয়েকজন দ্রুত ও দীর্ঘদেহী বোলার খুঁজে বের করতে হবে, যারা উইকেটে জোরে আঘাত করে সুবিধা আদায় করে নিতে পারবে। যেমনটা উইন্ডিজ বোলাররা করে দেখিয়েছে। ’

কামরুল ইসলাম রাব্বি কোচের এই দর্শনের সঙ্গে একমত নন। শনিবার মিরপুরে একাডেমি মাঠে ফিটনেস ট্রেনিং শেষে জানালেন শারীরিক গড়ন নয়, স্কিলের ঘাটতিই বড় করে দেখছেন তিনি,  ‘সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে স্কিল ডেভলপ করা। আমাদের আরও স্কিল ডেভলপ করতে হবে। অবস্থা বুঝে আরও ভালো খেলতে হবে। আমার মনে হয় আমরা যে উচ্চতার বোলার, সেই উচ্চতায়ও সম্ভব। বাংলাদেশের মানুষদের যে জেনিটিকাল অবস্থা, আমরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মত উচ্চতা পাব না। যদি এমন বোলার খুঁজতে বলা হয় তাহলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে বোলার আনতে হবে। ’

‘আমরা আশা করি এই উচ্চতা দিয়েই ভালো বোলিং করতে পারব এবং ম্যাচ জেতাতে পারব।’

উচ্চতার সীমাবদ্ধতা না হয় মানা গেল। কিন্তু গতি? সেখানেও সামর্থ্যের সীমাবদ্ধতায় স্যুয়িংয়ের উপর আস্থা রাখার পক্ষে কামরুল,  ‘আমরা যে গতিতে বল করি, এই গতিতে যদি আমরা ভালো সুইং করাতে পারি তাহলে আমরা ভালো করতে পারব। আপনি দেখবেন ভুবনেশ্বর কুমার ও ভারতের বোলাররা ভালো সুইং করাতে পারে। আমরা গতির দিকে নজর না দিয়ে যদি যদি সুইংয়ে নজর দেই তাহলে উন্নতি করতে পারব। আমাদের গতি ১৩০-৩৫ এর মধ্যে, এর সাথে সুইং যোগ করলেই ভালো করা সম্ভব।’

শারীরিক গড়ন নয় টেস্টে স্কিল ঘাটতির কারণেই এসব কথা আসছে জানিয়ে কামরুল উদাহরণ টানলেন ওয়ানডে, টি-টোয়েন্ট সিরিজে পেসারদের ভাল করার দিকে, ‘আমরা ওয়ানডে, টি-টুয়েন্টি সিরিজ জিতেছি তখন কেউ বলে নি যে আমাদের বোলার থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা খুব লম্বা বা ওরা অনেক ভালো। তখন কিন্তু কোচও এই কথা বলে নি। আমাদের মাশরাফি ভাই, রুবেলরাই কিন্তু সেখানে ভালো করছে। আমাদেরও ভালো করা সম্ভব।’

এতদিন অভিযোগ ছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে পেসারদের জন্য উপযোগী উইকেট পাওয়া যায় না। সেই চিত্রটা এখন বদলাতে শুরু করেছে। কামরুলও সায় দিলেন তাতে। এমনটা চলতে থাকলে ভালো পেসার সংকট কেটে যাওয়ার আশা তার, ‘শেষ কয়েক বছর ধরে আমরা ভালো উইকেট পাচ্ছি। খুলনায় ভালো উইকেট পাই, সিলেট-কক্সবাজার তো আগে ছিল না। এখন আস্তে আস্তে মাঠ বাড়ছে। এখন আমরা অনেকক্ষণ বোলিং করতে পারি, যা আগে হতো না। আশা করি আগামী কয়েকবছরে দেখবেন ভালো কয়েকজন বোলার পাবে।’

Comments