নিজেকে দুর্ভাগা ভাবছেন তাসকিন

পিঠের চোটের সঙ্গে সংগ্রাম করছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেটা থেকে সেরে উঠেই ধরেছিলেন ‘এ’ দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিমান। কিন্তু সেখানে গিয়ে ঠিকমতো খেলতেই পারলেন না। হাতের তালু ফাটিয়ে দেশে ফিরতে হয় তাকে। জাতীয় দলে ফেরার লড়াই তো পরে, আগে তাসকিনকে লড়তে হচ্ছে চোটের সঙ্গেই। এমন সংকটে নিজেকে দুর্ভাগাই মনে হচ্ছে এই পেসারের।
Taskin Ahmed
তাসকিন আহমেদ, ফাইল ছবি

পিঠের চোটের সঙ্গে সংগ্রাম করছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেটা থেকে সেরে উঠেই ধরেছিলেন ‘এ’ দলের সঙ্গে আয়ারল্যান্ডের বিমান। কিন্তু সেখানে গিয়ে ঠিকমতো খেলতেই পারলেন না। হাতের তালু ফাটিয়ে দেশে ফিরতে হয় তাকে। জাতীয় দলে ফেরার লড়াই তো পরে, আগে তাসকিনকে লড়তে হচ্ছে চোটের সঙ্গেই। এমন সংকটে নিজেকে দুর্ভাগাই মনে হচ্ছে এই পেসারের।

আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দলের বিপক্ষে বুধবার চতুর্থ আনঅফিসিয়াল ওয়ানডেতে নেমে ৫ ওভার বল করার পরই ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান ডানহাতি এই পেসার। দিতে হয় সাত সেলাই। ফলে সফর অসমাপ্ত ফিরতে হয় দেশে।

রোববার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে তাসকিন শোনালেন চোট নিয়ে তার দুর্দশার কথা, ‘আমার পিঠে বড় ইনজুরি ছিল। এর মধ্যেই অনুশীলনের মাঝখানে আমার হাত ফেটে যায়, তখন সাতটা সেলাই লেগেছিল। তারপর হাত শুকানোর পর আয়ারল্যান্ডে যাওয়ার পর আবার ব্যাক ইনজুরি সমস্যা করছিল। পরে ব্যথা সেরা যাওয়ার পর ফিটনেস টেস্ট দিয়ে চার নম্বর ওয়ানডেটা খেলতে পেরেছিলাম, পাঁচ ওভার বল করেছিলাম। একই ম্যাচে থার্ড ম্যানে ফিল্ডিং এর সময় বল থ্রো করতে গিয়ে হাতটা আবার ফেটে যায়।’

বারবার চোট এবং একই জায়গায় আঘাত পাওয়ায় নিজেকে দুর্ভাগা মনে করছেন তাসকিন। তবু আশা নিয়ে তাকিয়ে আছেন সামনের দিকে,  ‘হাতের তালুর দিকটায় বল লেগে ফেটে গিয়েছ। এটা আসলে আমার দুর্ভাগ্য বলা যায়। একই জায়গায় আগে ব্যথা পেয়েছিলাম, এখন আবার সেই জায়গাতেই ফাটলো। এটা খুবই দুঃখজনক, আমি সাড়ে পাঁচ-ছয় মাস পর খেলতে নামলাম এরপর আবার হাতের ইনজুরিতে পড়তে হল। কিন্তু কিছু করার নেই আসলে। সামনে অনেক খেলা আছে, যদি হাত ঠিক হয় তাহলে সুযোগের অপেক্ষায় থাকব।’

একসময় রঙিন পোশাকে নিয়মিত মুখ ছিলেন তাসকিন। ছন্দ হারিয়ে ছিটকে পড়েন দল থেকে, পরে হানা দেয় একের পর এক চোট। দল ভালো করছে, কিন্তু নিজে খেলতে পারছেন না। তার কণ্ঠে ভর করেছে আক্ষেপ, ‘আমার আশেপাশের মানুষদেরই আফসোস হচ্ছে। আমার কথা না হয় বাদ দিলাম। পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে বন্ধুরা সবাই আফসোস করছে। আমার কেমন অনুভব হচ্ছে সেটা আমি ভালো জানি। তবে এইসব জীবনের অংশ, আর আহামরি কিছু তো হয়ে যায় ন। বয়স আছে সামনে ভালো করার। তবে বলতে চাই না সামনে আমার অনেক সময় আছে। পেস বোলার হিসেবে আমাদের প্রতিটা মাস গুরুত্বপূর্ণ, এই সময়টা চলে ফেলে আর ফিরে পাওয়া যায় না।’

Comments