রিয়ালে না গিয়ে কেন লিভারপুলে ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক?

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। টানা তিন বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও তারা। এ ক্লাবে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন অনেক নামীদামী খেলোয়াড়ই । সেই ক্লাবের নজরে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। কিন্তু রিয়ালের জন্য অপেক্ষা না করে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে যোগ দেন এ ব্রাজিলিয়ান। অনেকে এতে বিস্মিত হয়েছিলেন। তবে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন অ্যালিসন।

বর্তমান বিশ্বের অন্যতম শক্তিধর ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। টানা তিন বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নও তারা। এ ক্লাবে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকেন অনেক নামীদামী খেলোয়াড়ই । সেই ক্লাবের নজরে ছিলেন ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। কিন্তু রিয়ালের জন্য অপেক্ষা না করে ইংলিশ ক্লাব লিভারপুলে যোগ দেন এ ব্রাজিলিয়ান। অনেকে এতে বিস্মিত হয়েছিলেন। তবে লিভারপুলে যোগ দেওয়ার কারণটা ব্যাখ্যা করেছেন অ্যালিসন।

রিয়ালের নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। কোস্টারিকার এ গোলরক্ষক ২০১৪ সাল থেকেই দলের মূল গোলরক্ষক। সে দলে যোগ দিলে ম্যাচ পেতে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হতো অ্যালিসনকে। হয়তো ভাগাভাগি করেই সামলাতেন তারা। কিন্তু লিভারপুলে দলে যোগ দিয়েই দলের মূল গোলরক্ষক এখন অ্যালিসনই।

মূলত ক্লাব এবং ক্লাবের কোচ ক্লপ তাকে বোঝাতে পেরেছেন লিভারপুলই তার বাড়ি। নিজ বাড়িতে থাকার শান্তির অনুভূতিটা বুঝতে পেরেই লিভারপুলে যোগ দিয়েছেন অ্যালিসন। আর দল হিসেবে ছোট নয় লিভারপুলও। এক সময় ফুটবল বিশ্ব দাপট দেখিয়েছিল ক্লাবটি। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তা ধরে রাখতে পারেনি তারা। তবুও তাকে মূল্যায়ন করাটাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছেন অ্যালিসন, ‘এটা আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল- সুখী থাকা এবং মূল্য পাওয়া। এই অনুভূতিটা লিভারপুল আমাকে দিতে পেরেছে।’

 ‘এটা অনেক বড় ক্লাব। দলে অনেক বড় বড় খেলোয়াড় আছে। কিন্তু যখন আমি এ দলে আসি এখানে শুনতে পেয়েছি আমি তাদের কাঙ্ক্ষিত একজন। শুধু খেলোয়াড়রাই নয়, সকল সমর্থক এবং স্টাফরাও। এটা খুব দারুণ একটি দল। অনেকের সঙ্গেই আমি আগে খেলেছি। যেমন রমায় থাকতে সালাহ আমার সতীর্থ ছিল।’ – যোগ করে আরও বলেন অ্যালিসন।

গত চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে অমার্জনীয় কিছু ভুল করে ফেলেন গোলরক্ষক লরিস কারিউস। তাতেও শেষ হয়নি। চলতি মৌসুমের শুরুতে প্রীতি ম্যাচেও একই ভুল করেছেন একাধিক বার। এরপর খুব দ্রুতই বেশ বড় অঙ্ক খরচ করে অ্যালিসনকে দলে ভেড়ান কোচ ইয়র্গেন ক্লপ।  রেকর্ড ৬৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে তাকে কিনে নেয় তারা। যদিও পরে কেপা আরিজাবাগাকে কিনতে ৭১.৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে সে রেকর্ড ভেঙে দেয় চেলসি।

Comments