এক সিমিওনির সময়েই রিয়ালের পাঁচ
২০১১ সালে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের যখন কোচ হলেন দিয়াগো সিমিওনি, তখন নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন হোসে মরিনহো। এখনও অ্যাতলেটিকোর কোচ আছেন সিমিওনি। আর এ সময়ের মাঝে রিয়ালে বদলেছে পাঁচ জন কোচ। সব শেষ সংযোজন জুলেন লোপেতেগি। যার বিপক্ষে বৃহস্পতিবার মুখোমুখি হচ্ছেন সিমিওনি।
এস্তোনিয়ার লে কক অ্যারেনায় মাদ্রিদ ডার্বির জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন সিমিওনি। নতুন মৌসুমের শুরুতেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বীর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে ঘুরে ফিরে আসছে কোচ প্রসঙ্গ। লোপেতেগির সঙ্গে কেমন হবে তার দ্বৈরথ। এর আগের চার কোচের বিপক্ষে সিমিওনির সাফল্য খারাপ নয়। এবার জিততে পারবেন উয়েফা সুপার কাপ? প্রথমবার ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো বিহীন রিয়ালের মোকাবেলা করবে তার দল।
কোচ হিসেবে অ্যাতলেটিকোয় যোগ দেওয়ার পর প্রথম মৌসুমে তিনটি ডার্বিতেই হেরেছিলেন সিমিওনি। তবে শেষ মোকাবেলায় মরিনহোর রিয়ালকে হারিয়ে কোপা দেল রে জিতে নিয়েছিল সিমিওনির অ্যাতলেটিকো। এরপর কার্লো অ্যানচেলত্তি যুগে দুই বছরে চারটি ভিন্ন প্রতিযোগিতায় মোট ১৩ বার দেখা হয় তাদের। সাফল্যের হারটা সিমিওনিরই বেশি। চার বার হারলেও জিতেছিল পাঁচবার। কিন্তু তারপরও ক্ষতটা বেশি ছিল সিমিওনিরই। কারণ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রায় জয়ের পথে থেকেও হার দেখতে হয়েছিল তাদের।
রাফায়েল বেনিতেজের রিয়ালের বিপক্ষে অবশ্য মাত্র একবার দেখা হয়েছিল সিমিওনির। সে লড়াইটি ড্র হয়। তবে জিনেদিন জিদানের রিয়ালের সঙ্গে পেরে উঠতে পারেননি সিমিওনি। সাতবারের মোকাবেলায় তিনটিতে হারেন তিনি। তবে জয় পেয়েছেন দুইবার। বাকি দুইটি ড্র।
তিন মৌসুম কোচ থেকেও দলকে আশানুরূপ সাফল্য এনে দিতে না পারায় ২০১৩ সালে বহিষ্কার হন মরিনহো। এর পর রিয়ালের দায়িত্ব নেন অ্যানচেলত্তি। তার অধীনেই এক যুগ পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতেছিল দলটি। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্য না পাওয়ায় বহিষ্কার করা হয় তাঁকেও। এরপর আসেন বেনিতেজ। টিকতে পারেননি এক মৌসুমও।
২০১৬ সালে মৌসুমের মাঝ পথে রিয়ালের দায়িত্ব নেন জিদান। তার অধীনেই দুর্দান্ত পারফর্ম করে দলটি। তিন মৌসুমেই দলকে টানা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন করার বিরল রেকর্ড গড়েন তিনি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য ছিল না ঘরোয়াতে। তবে তার উপর সন্তুষ্ট ছিল ক্লাব। কিন্তু মৌসুম শেষ হতে নিজেই পদত্যাগ করলে নতুন কোচ খুঁজতে হয় রিয়ালকে।
Comments