ব্যাটিং পজিশন নিয়ে ভাবিত নন মিঠুন

কখনো ওপেনার, কখনোবা মিডল অর্ডার। মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং পজিশন আসলে কি? হোক জাতীয় দল কিংবা ‘এ’ দল। অথবা খেলুন ঘরোয়া ক্রিকেটে, মিঠুনের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নড়াচড়া যেন নিত্যনৈমিত্ত ব্যাপার। এবার আয়ারল্যান্ড সফরে মিডল অর্ডারেও খেলেছেন, শেষ ম্যাচ খেললেন ওপেনিংয়ে। আর তাতে ম্যাচ জেতানো ইনিংসে খেলে ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে ফিরে বললেন, ভূমিকা রাখতে পারাটাই তার কাছে বড়।
Mohammad Mithun
ছবি: বিসিবি

কখনো ওপেনার, কখনোবা মিডল অর্ডার। মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিং পজিশন আসলে কি? হোক জাতীয় দল কিংবা ‘এ’ দল। অথবা খেলুন ঘরোয়া ক্রিকেটে, মিঠুনের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে নড়াচড়া যেন নিত্যনৈমিত্ত ব্যাপার। এবার আয়ারল্যান্ড সফরে মিডল অর্ডারেও খেলেছেন, শেষ ম্যাচ খেললেন ওপেনিংয়ে। আর তাতে ম্যাচ জেতানো ইনিংসে খেলে ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে দেশে ফিরে বললেন, ভূমিকা রাখতে পারাটাই তার কাছে বড়।

আয়ারল্যান্ড সফরে ওয়ানডে সিরিজ ড্র আর টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে রোববার দেশে ফিরেছে ‘এ’ দল। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এসে দলের হয়ে কথা বলেন মিঠুন। সিরিজ নির্ধারণী টি-টোয়েন্টির নায়ক তিনিই। ওপেন করতে নেমে তার মাত্র ৩৯ বলে ৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে ১৬.৫ ওভারেই ১৮৩ তাড়া করে জিতে যায় বাংলাদেশ ‘এ’ দল।

একই সিরিজে মিডল অর্ডারেও খেলেছিলেন তিনি। শেষ ম্যাচে হুট করে ওপেন করতে নামার পরও খেই হারাননি। দেখিয়েছেন সামর্থ্যের প্রমাণ। মিঠুনের কাছে অবশ্য এরকম হুটহাট ভূমিকা বদলে কোন সমস্যাই নেই, ‘দেখেন ব্যাটিংয়ের রোল কিন্তু সবসময় এক রকম থাকে না। ডিপিএলে যেমন আমি ওপেন করি, ওয়ান ডাউনে কিংবা টু ডাউনেও খেলি। আমার লক্ষ্য ছিল শেষ পর্যন্ত খেলার। আমার সেখানে যে রোল ছিল আমি সেভাবেই খেলেছি। ’

ঘরোয়া ক্রিকেটে ঠান্ডা মাথার ব্যাটসম্যান হিসেবে নামডাক আছে মিঠুনের। গেল বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের মিডল অর্ডারে ছিলেন আস্থার অপর নাম। মিঠুন চান আক্রমণ কিংবা রক্ষণ, দলের যখন যা চাহিদা তাই মেটাতে, ‘আসলে আমি মনে করি একজন ব্যাটসম্যান হিসেবে এই গুণগুলো প্রত্যেকের মধ্যে থাকা উচিৎ। আপনার যখন অ্যাটাক করতে হবে তখন অ্যাটাক করা। দলের প্রয়োজন বুঝে যা করার করতে হবে। আমরা যখন যা করি তখন দলের প্রয়োজনেই করি। অ্যাটাক বলেন, ডিফেন্ড বলেন সবই দলের জন্য। দলের প্রয়োজনে অবশ্যই সেভাবে মানিয়ে নিতে হবে।’

আয়ারল্যান্ড সিরিজে বাংলাদেশের প্রাপ্তিও কম নয়। কনকনে শীত, অস্বাভাবিক বাতাসের মতো অনভ্যস্ত কন্ডিশনে খেলতে হয়েছে। প্রতিপক্ষও ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী। খেলেছেন আইরিশদের প্রথম সারির ক্রিকেটাররাই। টি-টোয়েন্টি সিরিজে তো জাতীয় দলের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড, কেভিন ওব্রায়েনরাও খেলেছেন। তাই সব মিলিয়ে দলের অর্জনও ভালোই মনে হচ্ছে মিঠুনের কাছে, ‘সাফল্য বলতে খুব খারাপ হয়নি, তবে আমরা আরও ভালো করতে পারতাম। কারণ আমরা হয়তো ওয়ানডে সিরিজটি জেতা উচিৎ ছিল। তবে ওদের দলটি অনেক ভালো ছিল। অনেকেই জাতীয় দলের ছিল, অভিজ্ঞ ছিল। এরপরেও আমার মনে হয় সবমিলিয়ে ভালোই হয়েছে।’

পুরো সিরিজ খেলে নতুন টেস্ট সদস্য আইরিশদের অবকাঠামো, পরিবেশও বেশ মনে ধরেছে মিঠুনের, ‘তাদের স্ট্র্যাকচার অনেক সুন্দর। ইংল্যান্ডের সাথে তাদের অনেক মিল আছে সুবিধার দিক থেকে। আপনার যেকোনো ক্লাবের প্র্যাকটিস সুবিধা অনেক সুন্দর এখানে। ইনডোর, মেশিন, উইকেট এবং যেকোনো ক্লাবের সুযোগ সুবিধা সবই আন্তর্জাতিক মানের।’

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago