‘মিয়ানমারকে বিচারের মুখোমুখি হতে বাধ্য করুন’

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৩০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা এক বার্তায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি করেছেন।
Rohingya
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে প্রাণ বাঁচাতে রোহিঙ্গারা শরণার্থী হয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ১৩০ জনের বেশি আইনপ্রণেতা এক বার্তায় মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে জাতিগত সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের কারণে দেশটিকে বিচারের মুখোমুখি করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দাবি করেছেন।

গতকাল (২৩ আগস্ট) ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর এবং তিমুর-লেসটে- এই পাঁচটি দেশের ১৩২ জন আইনপ্রণেতা এই দাবি জানান। তাদের মধ্যে রয়েছেন আসিয়ান পার্লামেন্টেরিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস (এপিএইচআর) এর ২২ জন সদস্য।

তারা মিয়ানমারের অবস্থা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)-এর কাছে তুলে ধরতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে আহ্বান জানান।

জাকার্তা থেকে ইউএনবির হাতে পাওয়া বার্তায় বলা হয়, যেহেতু মিয়ানমার রোম চুক্তিতে সই করেনি তাই আইসিসি দেশটির ওপর কোন চাপ দিতে পারছে না। এ ক্ষেত্রে আদালতের হয়ে নিরাপত্তা পরিষদ দেশটিতে তদন্ত চালাতে পারে।

মালয়েশিয়ার জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং এপিএইচআর এর সভাপতি চার্লস সান্তিয়াগো বার্তায় বলেন, “রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমারের জঘন্যতম নির্যাতনের এক বছর হতে চলছে। অথচ আমরা অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি হতে দেখলাম না। যেহেতু মিয়ানমার সেসব ঘটনার তদন্ত করতে ইচ্ছুক নয় বা সক্ষম নয় সেহেতু আমরা এখন এমন একটি পরিস্থিতিতে রয়েছি যেখানে বিচার নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পদক্ষেপ নিতে হবে।”

সান্তিয়াগো আরও বলেন, “আমি এবং আমার ১৩১ জন সদস্য নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি দ্রুত মিয়ানমার পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালতে তোলা হোক। ভবিষ্যতে তাদেরকে এমন অপরাধ করে যাওয়ার সুযোগ কোনোভাবেই দেওয়া যাবে না।”

রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ পোস্টে আরাকান রাখাইন সলভেশন আর্মির হামলার জবাব দিতে গিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনী গত বছরের ২৫ আগস্ট নিরীহ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মূল অভিযান চালায়। সেই অভিযানের এক বছর পূর্তি হচ্ছে আগামীকাল।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সেই অভিযানে হাজার হাজার সাধারণ রোহিঙ্গাকে হত্যা করে, নারীদের ওপর দৈহিক নির্যাতন চালায়, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এমনকি, সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আসতে বাধ্য করে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago