ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া ৫ সন্তানের সন্ধান চায় পরিবার

ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিখোঁজ হওয়া পাঁচ জনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চার দিন আগে তাদের সন্তানদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আটকের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে।
রাজধানীর বিমানবন্দর ও যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে চার দিন আগে ডিবি পরিচয়ে আটক করা পাঁচ সন্তাদের সন্ধান দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। ছবি: রাফিউল ইসলাম

ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নিখোঁজ হওয়া পাঁচ জনের সন্ধান চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে চার দিন আগে সন্তানদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আটকের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা এদের আটক করেনি।

নিখোঁজ পাঁচ জন হলেন: সফিউল আলম ও তার ভাই মনিরুল আলম, আবুল হায়াত, সফিউল্লাহ ও মোশারফ হোসেন মাজ।

ঢাকায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সফিউল ও মনিরুলের মা রামিসা খানম বলেন, গত তিন দিনে ঢাকার বিভিন্ন থানা ও ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় কাঁদছিলেন রামিসা। সন্তানদের মুক্তি দাবি করে তিনি বলেন, পুলিশ আটক করার কথা স্বীকার না করায় আমরা প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি।

আটকের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রামিসা বলেন, হজ শেষে গত ১২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টায় তিনি ঢাকায় বিমানবন্দরে নামেন। গ্রামের বাড়িতে ফেরার উদ্দেশ্যে দুই ছেলে সফিউল, মনিরুল ও মনিরুলের বন্ধু আবুল হায়াতের সঙ্গে তিনি মাইক্রোবাসে ওঠার পর বিমানবন্দর এলাকাতেই একদল লোক তিনি ছেলেকে গাড়ি থেকে নামিয়ে নিয়ে যায়।

তার দাবি, সাদা পোশাকে থাকা ওই লোকেরা নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়েছিল। প্রমাণ হিসেবে তারা পরিচয়পত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র দেখায়। পরে ওই রাতেই তারা সফিউলকে নিয়ে যাত্রাবাড়ীতে গিয়ে তার দুই রুমমেট সফিউল্লাহ ও মোশারফকেও আটক করে নিয়ে যায়।

তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, তারা এই পাঁচ জনের কাউকেই আটক করেননি।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকার মহাখালী ও তেজগাঁও থেকে আটক করা ১২ শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির করেছিল পুলিশ।

এই শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন যে তিন দিন আগে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এর পর থেকে তাদের আটক করার কথা অস্বীকার করা হচ্ছিল।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago