ফের বাড়তে পারে গ্যাসের দাম

বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ভোক্তা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করতে চলেছে সরকার। এর ফলে শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফিলিং স্টেশন, সার কারখানা ও চা প্রক্রিয়াজাত করণ শিল্পে নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

বিদেশ থেকে আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) ভোক্তা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করতে চলেছে সরকার। এর ফলে শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎকেন্দ্র, ফিলিং স্টেশন, সার কারখানা ও চা প্রক্রিয়াজাত করণ শিল্পে নতুন করে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী গতকাল বলেছেন, আমদানি করা এলএনজি’র সরবরাহ শুরু হয়ে গেছে। এ কারণেই খুব শিগগিরই গ্যাসের দাম বাড়বে। তবে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) সরকার বলেছে দাম সহনীয় রাখতে।

সর্বশেষ জুন মাসে গৃহস্থালি বাদে সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য গণশুনানি আয়োজন করেছিল বিইআরসি। সে অনুযায়ী বাড়তে পারে গ্যাসের দাম।

বিদেশ থেকে উচ্চ মূল্যে আমদানি করা এলএনজির কারণেই মূলত এবার গ্যাসের দাম বাড়তে চলেছে। দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে উত্তোলন করা প্রতি ঘন মিটার গ্যাস পেট্রোবাংলা গড়ে ৭ টাকা ৩৯ পয়সা দরে বিক্রি করে। সেখানে প্রতি ঘন মিটার এলএনজি আমদানি করতেই ৩০ টাকা খরচ হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত গ্যাসের সঙ্গে এলএনজি মিশ্রিত করলে প্রতি ঘনমিটারে দাম ১৩ টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে।

এলএনজি সরবরাহ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চট্টগ্রাম থেকে জাতীয় গ্রিডলাইন পর্যন্ত সংযোগ স্থাপনে দেরি হওয়ায় চার মাস পর গত ১৮ আগস্ট থেকে এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়েছে। জ্বালানি উপদেষ্টা জানান, শুরুতে প্রতি দিন চট্টগ্রাম অঞ্চলে ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হলেও পরে এটা ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত করা হয়।

সর্বশেষ গত বছর মার্চ মাসে গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল সরকার। এর তিন মাস পরই গ্যাসের দাম ফের বাড়ানো হলেও হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞায় মার্চ মাসের নির্ধারিত দামে ফিরে গিয়েছিল গ্যাসের দাম। আইন অনুযায়ী একই অর্থবছরে দুই দফায় জ্বালানির দাম বাড়াতে পারে না বিইআরসি।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে জ্বালানি বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এফইআরবি ও সোলার মডিউল ম্যানুফ্যাকচারার্স এসোসিয়েশন বাংলাদেশের যৌথভাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী।

Comments