অবদান রাখতে পারলেই খুশি মিঠুন

ফাইল ছবি

নিজেকে কি ভাববেন মোহাম্মদ মিঠুন? সৌভাগ্যবান নাকি দুর্ভাগা? দলের চরম বিপর্যয়ে খেলেছেন ৬৩ রানের ইনিংস। কিন্তু তা নিয়ে আলোচনা খুব কমই। তার কৃতিত্ব যেন ঢাকা পড়েছে মুশফিকুর রহীমের অতিমানবীয় এক ইনিংস আর তামিম ইকবালের বিস্ময়কর অবদানে। তবে নাম ডাক যশ এসব নিয়ে ভাবছেন না এ ব্যাটসম্যান। দলের জয়ে অবদান রাখতে পারলেই খুশি।

তাই সব মিলিয়ে নিজের পারফরম্যান্সের মূল্যায়নটা মিঠুন করলেন এভাবেই, ‘মূল্যায়ন বলতে আমাকে যদি ব্যক্তিগতভাবে জিজ্ঞেস করেন আন্তর্জাতিক ম্যাচে এটাই আমার সেরা ইনিংস। এর আগে তেমন কিছু করিনি যেটা নিয়ে আলোচনা হবে। অবশ্যই ভালো লাগছে যে দলের হয়ে অবদান রাখতে পেরেছি।’

আপাতত অবদান রেখেই খুশি মিঠুন। কিন্তু এদিকে বয়স যে থেমে নেই। ২৭ পেরিয়ে ২৮ এর দিকে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলছেন চার বছরের বেশ হলো। তবে দলে আসা যাওয়ার মাঝেই ছিলেন। নির্দিষ্ট ভাবে জায়গা যেমন পাননি তেমনি নির্দিষ্ট ভাবে পাননি ব্যাটিং লাইন আপে নিজের অবস্থান। কার্যকরী এক ইনিংস খেলার পরও একই অবস্থা।

‘দেখেন এখন পর্যন্ত তো জানি না আমার পরের ম্যাচে কোথায় ব্যাটিং করতে হতে পারে। অবশ্যই যদি আমাকে দলের প্রয়োজনে ওপেন করতে হয় তাহলে ওইভাবে নিজেকে প্রস্তুত করব। আমি সব জায়গার জন্য প্রস্তুত আছি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে দলের যে কোন জায়গায় আমি খেলতে প্রস্তুত আছি।’

বাংলাদেশ দলে বেশ প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছিলেন মিঠুন। শক্তি সামর্থ্য সবই আছে তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই ভালো খেলে থাকেন। একবার তো সাবেক কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অনুশীলনে তার ব্যাটিং দেখে মুগ্ধ হয়ে দলে নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও কেন জানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। এবার পারলেন। তাও প্রচণ্ড চাপে। হয়তো এখন থেকেই নতুন দিগন্তের শুরু। তবে এমন আরও অনেক ইনিংস খেলতে চান মিঠুন।

‘শুধু একটা ম্যাচ গেছে। আমার যদি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হয় বা আমার যদি লম্বা ক্যারিয়ার লাগে আমাকে অনেক ম্যাচ ভাল খেলতে হবে। প্রত্যেকটা ম্যাচই আমার জন্য চ্যালেঞ্জের। আমি যেহেতু বাংলাদেশের হয়ে খেলছি আমি চেষ্টা করব সব ম্যাচেই অবদান রাখার। দলের স্বার্থে ১০ রান করে হলেও অবদান রাখতে আমার দিক থেকে শতভাগ চেষ্টা থাকবে।’

শেষ ম্যাচে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করলেও নেমেছেন দুই ওভার শেষেই। স্বাভাবিকভাবে শুরুতেই খেলতে পছন্দ করেন মিঠুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ওপেনার কিংবা টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেন। তবে অঘটন না ঘটলে তাকে ৩০ ওভারের পরই মাঠে নামার কথা। আর তার জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মিঠুন। যে কোন পজিশনে ভালো যে তাকে করতেই হবে। আর তার জন্য প্রয়োজনীয় রসদটা যে পেয়ে গেছেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago