ভারতকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল পুঁচকে হংকং

লক্ষ্যটা ছিল ২৮৬ রানের। তার অর্ধেকের বেশি আসলো ওপেনিং জুটিতেই। ১৭৪ রানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি। কিন্তু তারপরও হার দেখতে হলো হংকংকে। মূলত শেষ দিকে টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় দলটি। তবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ঠিকই কাঁপিয়ে দিয়েছিল তারা। ভারতের বিপক্ষে তাদের হারটি ২৬ রানের।

লক্ষ্যটা ছিল ২৮৬ রানের। তার অর্ধেকের বেশি আসলো ওপেনিং জুটিতেই। ১৭৪ রানের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটি। কিন্তু তারপরও হার দেখতে হলো হংকংকে। মূলত শেষ দিকে টেম্পারমেন্ট ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় দলটি। তবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতকে ঠিকই কাঁপিয়ে দিয়েছিল তারা। ভারতের বিপক্ষে তাদের হারটি ২৬ রানের।

অভিজ্ঞতা কি জিনিস তা খুব ভালো ভাবেই টের পেল হংকং। প্রতিপক্ষের এতো বড় ওপেনিং জুটির পর ম্যাচে ফিরে কিভাবে আসতে তা দেখিয়ে দিল ভারত। দুবাইয়ে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার নিজাকাত খান ও অধিনায়ক আংশুমান রাথের দুর্দান্ত ওপেনিং জুটিতে উড়ন্ত সূচনা পায় হংকং। আর তাতেই কাঁপন ধরে গিয়েছিল ভারতীয় শিবিরে।

তবে ভারত স্বস্তি পায় ৭৩ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলা অধিনায়ক আংশুমানের এক ভুলে। আর তাকে আউট করার পরই যেন তেতে ওঠে ভারত। আর অপরদিকে হংকং যোগ দেয় উইকেট পতনের মিছিলে। স্কোর বোর্ডে আর এক রান যোগ করতেই আউট হন আরেক সেট ওপেনার নিজাকাতও।

কার্যত তখনই ব্যাকফুটে চলে যায় হংকং। এরপরের ব্যাটসম্যানরা আসা যাওয়ার মিছিলে থেকে কেবল ব্যবধানই কমিয়েছেন। ১১৫ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন নিজাকাত। এ রান করতে ১২টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। আংশুমানের ৭৩ রানের ইনিংসটি ৯৭ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে করেন। শেষ দিকে এহসান খান করেন ২২ রান।

ভারতের পক্ষে ৪৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন জাজভেন্দ্রা চাহাল। ৪৮ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন অভিষিক্ত খলিল আহমেদও। এছাড়া ২টি উইকেট পান কুলদিপ যাদব।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করে ভারত। ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন দুই ওপেনার অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শেখর ধাওয়ান। তবে ভারত তাদের ভিত্তি গড়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় উইকেট জুটিতে। দ্বিতীয় উইকেটে আম্বাতি রাউডুকে নিয়ে ধাওয়ানের ১১৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যায়। এরপর রাউডু আউট হলে দিনেশ কার্তিককে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান।

তবে ধাওয়ানকে আউট করার পর দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়ায় হংকং। শেষ দিকে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ৫টি উইকেট তুলে নেয় তারা। ফলে শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় ভারত। আর তাতেই ভারতের সংগ্রহ খুব বড় হতে দেয়নি হংকংয়ের বোলাররা।

দারুণ ব্যাটিং করে ক্যারিয়ারের ১৪তম সেঞ্চুরি আদায় করে নেন ধাওয়ান। ১২০ বলে ১২৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ১৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংসটি সাজান এ ওপেনার। রাউডুর ব্যাট থেকে আসে ৬০ রানের ইনিংস। হংকংয়ের পক্ষে ৩৯ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন কিঞ্চিৎ শাহ। এছাড়া এহসান খান নেন ২টি উইকেট।

এক জয়েই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে ভারতের। একই সঙ্গে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হয়েছে এ গ্রুপের অপর দল পাকিস্তানেরও। আর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিল হংকং। আগামীকাল বুধবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ভারত ও পাকিস্তান।

Comments