জমাট লড়াই শেষে আফগানদের হারাল পাকিস্তান

আবুধাবির উইকেটে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল আফগানিস্তান। শুরুতে উইকেট নিয়ে চ্যালেঞ্জটা বাড়িয়ে দিয়েছিল তারা। এরপর দুই পাকিস্তানীর প্রতিরোধ গড়লেও রানের লাগাম আটকে রেখেছিল দলটি। কিন্তু অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকই বদলে ম্যাচের চিত্র। আর তাতেই হার মানে আফগানিস্তান। জমজমাট ম্যাচ শেষে পাকিস্তান পায় ৩ উইকেটের স্বস্তির জয়।

আবুধাবির উইকেটে ২৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছিল আফগানিস্তান। শুরুতে উইকেট নিয়ে চ্যালেঞ্জটা বাড়িয়ে দিয়েছিল তারা। এরপর দুই পাকিস্তানীর প্রতিরোধ গড়লেও রানের লাগাম আটকে রেখেছিল দলটি। কিন্তু অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকই বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র। আর তাতেই হার মানে আফগানিস্তান। জমজমাট ম্যাচ শেষে পাকিস্তান পায় ৩ উইকেটের স্বস্তির জয়।

আফগানিস্তানের দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে কোন রান না তুলতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার ফাখার জামান। এরপর বাবর আজমকে নিয়ে সাবধানী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের মেরামত করেন ইমাম-উল-হক। ১৫৪ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন তারা। এরপর এ জুটি ভেঙে দারুণ ভাবে আফগানিস্তানকে ম্যাচে ফেরান রশিদ খান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে খেলা জমিয়ে দেয় দলটি।

তবে এক প্রান্তে অনড় ছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক। শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন এ ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১০ রান। প্রথম বল ডট দিলেও পরে দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন মালিক। শেষ পর্যন্ত ৪৩ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৫১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮০ রানের ইনিংস খেলেন ইমাম। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া বাবর খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। আফগানিস্তানের পক্ষে ৪৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান রশিদ খান। মুজিব উর রহমান নেন ২টি উইকেট।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আফগানিস্তান। ৩১ রানেই তাদের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে চেপে ধরে পাকিস্তান। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহকে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেন হাসমতুল্লাহ শাহিদি। এরপর রহমত আউট হলেও অধিনায়ক আসগর আফঘানকে নিয়ে ৯৪ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন তিনি। আর তাতে ভর করেই লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় আফগানিস্তান।

৯৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন হাসমতুল্লাহ। সেঞ্চুরি থেকে  ৩ রান দূরে থাকলেও আফগান ইনিংসের ভিত্তি গড়ে দেন তিনি। ১১৮ বলে ৭টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৫৬ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৬৭ রান করেন অধিনায়ক আসগর। রহমত শাহ করেন ৩৬ রান। পাকিস্তানের পক্ষে ৫৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ২টি উইকেট পান শিহান আফ্রিদি।

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

4h ago