ড. কামালের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপি

গণফোরামের ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারার অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে এক মঞ্চে এলেন বিএনপির নেতারা। গতকাল ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ড. কামালের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যে নাগরিক সমাবেশ হয় তাতে যোগ দিয়ে তিন দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় বিএনপি। আগামী ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে সভা সমাবেশ করারও ঘোষণা দেন তারা।
শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশে বাম দিক থেকে বিএনপির নেতা মওদুদ আহমেদ, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মইনুল হোসেন, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, বিএনপির নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ছবি: আমরান হোসেন

গণফোরামের ড. কামাল হোসেন ও বিকল্পধারার অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর সঙ্গে এক মঞ্চে এলেন বিএনপির নেতারা। গতকাল ঢাকায় মহানগর নাট্যমঞ্চে ড. কামালের সভাপতিত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার যে নাগরিক সমাবেশ হয় তাতে যোগ দিয়ে তিন দফা দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানায় বিএনপি। আগামী ১ অক্টোবর থেকে সারাদেশে ঐক্যবদ্ধভাবে সভা সমাবেশ করারও ঘোষণা দেন তারা।

জাতীয় ঐক্যের তিন দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান। অন্য দুটি দাবি হলো- নির্বাচন কমিশনের পুনর্গঠনের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও তফশিল ঘোষণার আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান ড. কামাল। তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। কার্যকর গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের ‘জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার’ সমাবেশে যোগ দেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ ও আবদুল মঈন খান, যুক্তফ্রন্টের শরিক জাসদের (জেএসডি) আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ গণসংহতি আন্দোলন ও বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ৯টি দলের নেতারা। এছাড়াও বিএনপির পক্ষে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ডা. জাফরুল্লাহ সমাবেশে যোগ দেন ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা মঈনুল হোসেন সমাবেশে বক্তব্য দেন।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর এই প্রথম বারের মতো এতগুলো দলের নেতা একসঙ্গে এক মঞ্চে আসলেন। তবে গণসংহতি আন্দোলন গেলেও সিপিবি ও বাসদসহ বাম গণতান্ত্রিক জোটের বেশিরভাগ দলের নেতাদের এই মঞ্চে দেখা যায়নি।

সমাবেশের শেষ পর্যায়ে ঘোষণাপত্র পাঠ করেন তেল-গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। শান্তিপূর্ণ উপায়ে দাবি আদায়ের জন্য ঘোষণায় দেশের সকল জেলায়, উপজেলায়, ইউনিয়নে ও ওয়ার্ড পর্যায়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

2h ago