ছয়ে খেলার নেপথ্যের কারণ জানালেন ইমরুল

জরুরী তলবে দেশ থেকে উড়ে এসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা ইমরুল কায়েসের সামনে কেবল ভ্রমণ ক্লান্তি আর কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জই ছিল না। ছিল নতুন পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও। ক্যারিয়ারের ৭০ ম্যাচের একবারও তিনের নিচে খেলা হয়নি। অথচ ম্যাচের দিন সকালেই জানতে পারেন ওপেনিং বা তিন নম্বরে নয়, তাকে খেলতে হবে ছয় নম্বরে। বিশেষ পরিকল্পনা থেকেই যে এমন সিদ্ধান্ত আঁচ করা যাচ্ছিল ম্যাচের সময়ই। ম্যাচের পরদিন ফুরফুরে ইমরুল নিজেই জানিয়েছেন নেপথ্যের কারণ।
Imrul Kayes
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৭২ রানের ইনিংসের পথে ইমরুল। ছবি: বিসিবি

জরুরী তলবে দেশ থেকে উড়ে এসে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ খেলা ইমরুল কায়েসের সামনে কেবল ভ্রমণ ক্লান্তি আর কন্ডিশনের চ্যালেঞ্জই ছিল না। ছিল নতুন পজিশনে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও। ক্যারিয়ারের ৭০ ম্যাচের একবারও তিনের নিচে খেলা হয়নি। অথচ ম্যাচের দিন সকালেই জানতে পারেন ওপেনিং বা তিন নম্বরে নয়, তাকে খেলতে হবে ছয় নম্বরে। বিশেষ পরিকল্পনা থেকেই যে এমন সিদ্ধান্ত আঁচ করা যাচ্ছিল ম্যাচের সময়ই। ম্যাচের পরদিন ফুরফুরে ইমরুল নিজেই জানিয়েছেন নেপথ্যের কারণ।

প্রচণ্ড গরমে আবুধাবিতে ম্যাচ জিতে আসার পর সোমবার অনুশীলন ছিল না বাংলাদেশ দলের। ছুটি পেয়ে দুপুরে ঘুরতে বের হয়েছিলেন ইমরুল। বিকেলে হোটেলে ফিরে জানান ম্যাচ খেলার মানসিক প্রস্তুতি নিয়েই খুলনা-ঢাকা-দুবাই হয়ে আবুধাবি এসেছিলেন। তবে নতুন পজিশনের কথা জেনেছেন অনেক পরে,  ‘আমি আসলে প্রস্তুত ছিলাম, আমি ম্যাচ খেলবো। ছয় নম্বরে ব্যাটিং করবো এটা আমি জিনেছি টিম মিটিংয়ে ম্যাচের দিন সকালে।’

ইমরুলকে ছয়ে নামানো হয় রশিদ খানের কথা ভেবেই। এমনিতে বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে কিছুটা দুর্বল রশিদ। ইমরুলের তাকে চেনাও আছে বেশ। এই ফাটকা থেকেই তাকে পাঠানো হয় ছয়ে, ‘বলা হয়েছিল ওখানে রশিদ খান-মুজিব থাকবে। দুইজন স্পিনারকে খেলার জন্য। যেহেতু বিপিএলে রশিদ খান আমার টুর্নামেন্টে খেলেছে। ওই হিসেব করে কোচ আমাকে বলছিল, তুমি একটু হিসেব করে খেলতে পারবা। এটাই আমার মাথায় ছিল রশিদ খানকে ফেস করতে হবে।’

ছয়ে নেমে দারুণ সাফল্য ইমরুলের। দলের বিপর্যয়ে ৬ষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ১২৮ রানের রেকর্ড জুটি গড়েছেন। শেষ পর্যন্ত টিকে ৮৯ বলে ৭২ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের ৩ রানের জয়ে রেখেছেন পার্শ্ব নায়কের ভূমিকা।

ওপেনার হয়েও এত নিচে খেলায় কোন অস্বস্তি দেখছেন না ইমরুল। বরং ওপেনাদেরই নাকি সব তালিম ধাতস্থ করতে হয়, ‘আমার মনে হয় ওপেনিং ব্যাটসম্যানরা যখন বড় ইনিংস খেলতে থাকে, তখন তারা সব পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করার মতো উপযুক্ত হয়ে উঠে। কেননা বড় ইনিংসে খেলতে হলে ওপেনার ব্যাটসম্যানদের শুরুতে, মাঝে এবং ডেথ ওভারে খেলতে হয়। এ কারণে আমার ব্যক্তিগত ভাবে মনে হয় না ৬ কিংবা ৪ নম্বর নিয়ে কোন সমস্যা আছে। ’

ওপেনিংয়ে খেলতে পারেন, তিনেও খেলেছেন। এবার ছয়ে খেলে পেলেন সাফল্য। ইমরুলের সামনে কি নতুন জানালাও খুলে গেল? ঠান্ডা মাথার এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান নিজের সব দায়িত্ব দিয়ে রেখেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে,  ‘এটা আসলে আমার বিষয় না। এটা হচ্ছে ম্যানেজমেন্টের বিষয়। ম্যানেজমেন্ট যদি মনে করেন যে আমাকে এই জায়গাগুলোতে খেলাবে, আমি প্রস্তুত থাকবো। সমস্যা নাই। ’

 

Comments

The Daily Star  | English

LPG tanker in Chattogram still burning after 13 hours

9-member probe body formed by Chittagong Port Authority

4h ago