শেষ বলের রোমাঞ্চ শেষে হারল বাংলাদেশ
লক্ষ্যটা মাত্র ২২৩ রানের। তাই নিয়েই শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করল টাইগাররা। কিন্তু দুর্ভাগ্য শেষ রক্ষা করতে পারেনি তারা। আরও একটি ফাইনালে জয়ের খুব কাছে গিয়ে হারল বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের ফাইনালে এদিন বাংলাদেশকে ৩ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা অক্ষুণ্ণ রাখল দলটি।
শেষ দুই ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল মাত্র ৯ রান। উইকেট ছিল ৪টি। প্রায় একপেশে ম্যাচ। বল হাতে নিয়ে প্রথম বলেই মোস্তাফিজ ফেরালেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। তাতেই আশাটা জাগে টাইগারদের। সে ওভারে মাত্র ৩ রান দিলেন মোস্তাফিজ। তাই শেষ ওভারে দরকার ৬ রান। বল হাতে এলেন মাহমুদউল্লাহ। সিঙ্গেলের উপর ভর করে প্রথম ৫ বল থেকে ভারত পায় ৫ রান। শেষ বলে দরকার ১। বলটা পেটাতে পারেননি কেদার যাদব। কিন্তু দুর্ভাগ্য বাংলাদেশের, লেগ বাই সূত্রে রান পেয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত। আর হৃদয় ভাঙে বাংলাদেশের।
এশিয়া কাপের শুরু থেকেই টপ অর্ডারের ব্যর্থতা দেখে এসেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে ওপেনিংয়ে ভোগান্তিটা ছিল বেশি। কিন্তু এদিন দারুণ চমক উপহার দিয়ে ১২০ রানের দারুণ এক উদ্বোধনী উপহার দেন লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু এরপর ১০২ রান করতে হারায় দলের সব উইকেট। ফলে বৃথা লিটনের ১২১ রানের ইনিংস।
অপরদিকে প্রায় প্রতি ম্যাচেই টপ অর্ডার দারুণ খেলছিল ভারতের। এদিন টপ অর্ডারকে ফেরাতে পারলেও শেষদিকের ব্যাটসম্যানরাই ভোগাল টাইগারদের। আট নম্বর ব্যাটসম্যান ভুবনেশ্বরও খেলেছেন ২১ রানের ইনিংস। ফলে আরও একটি হারে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় টাইগারদের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ : ২২২ (৪৮.৩ ওভার) (লিটন ১২১, মিরাজ ৩২, ইমরুল ২, মুশফিক ৫, মিঠুন ২, মাহমুদউল্লাহ ৪, সৌম্য ৩৩, মাশরাফি ৭, নাজমুল ৭, মোস্তাফিজ ২*, রুবেল ০; ভুবনেশ্বর ০/৩৩, বুমরাহ ১/৩৯, চাহাল ১/৩১, কুলদিপ ৩/৪৫, জাদেজা ০/৩১, কেদার ২/৪১)।
ভারত : ২২৩/৭ (৫০ ওভার) (রোহিত ৪৮, ধাওয়ান ১৫, রাইডু ২, কার্তিক ৩৭, ধোনি ৩৬, কেদার ২৩*, জাদেজা ২৩, ভুবনেশ্বর ২১, কুলদিপ ৫*; মিরাজ ০/২৭, মোস্তাফিজ ২/৩৮, অপু ১/৫৬, মাশরাফি ১/৩৫, রুবেল ২/২৬, মাহমুদউল্লাহ ১/৩৩)।
ফলাফল : ভারত ৩ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ : রোহিত শর্মা
ম্যান অব দ্য সিরিজ : শেখর ধাওয়ান
রিভিউ নিয়ে জাদেজাকে ফেরালেন রুবেল
আশাটা আবার জাগিয়েছেন টাইগাররা। রবিন্দ্র জাদেজাকে ফিরিয়েছেন রুবেল হোসেন। জায়গায় দাঁড়িয়ে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন জাদেজা। বল ব্যাটে হাল্কা চুমু খেয়ে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের হাতে। কিন্তু আউট দেননি আম্পায়ার। পরে রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে হয় তাকে। ৩৩ বলে ২৩ রান করেন জাদেজা।
৪৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২১৪ রান। ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন ভুবনেশ্বর কুমার। উইকেটে আবার ফিরে এসেছেন কেদার যাদব।
বোলিংয়ে ফিরেই ধোনিকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
লক্ষ্য ছোট হওয়ার কারণেই হয়তো বেশ দেখে শুনেই খেলছিলেন মহেদ্র সিং সিং ধোনি। ধীর গতিতে দলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের পথে। তবে তার ধৈর্যশীল ইনিংসের ইতি ঘটিয়েছেন কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান। তৃতীয় স্পেলে বল করতে এসে প্রথম বলেই উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের তালুবন্দি করেছেন তিনি। ৬৭ বলে ৩৬ রান করেছেন ধোনি।
৩৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৬২ রান। ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন কেদার যাদব। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রবিন্দ্র জাদেজা।
কার্তিককে ফিরিয়ে জুটি ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ
সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন দিনেশ কার্তিক। তবে বড় ক্ষতি করার আগেই তাকে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেছেন তিনি। ৬১ বলে ৩৭ রান করেছেন কার্তিক। ধোনির সঙ্গে গড়েছেন ৫৪ রানের জুটি।
৩১ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৯ রান। ৩০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন কেদার যাদব।
রোহিতকে ফেরালেন রুবেল
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরু থেকে সাবলীল ব্যাট করে দলের রানের গতি সচল রাখছিলেন। পাশাপাশি নিজেও এগিয়ে যাচ্ছিলেন হাফ সেঞ্চুরির পথে। তবে তাকে ফিরিয়েছেন রুবেল হোসেন। তার বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে নাজমুল ইসলাম অপুর তালুবন্দি হয়েছেন রোহিত। ৫৫ বলে ৪৮ রান করেছেন তিনি। এ রান করতে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন এ ওপেনার।
১৭ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮৩ রান। ১৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন দিনেশ কার্তিক। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
বোলিংয়ে এসেই রাইডুকে ফেরালেন মাশরাফি
বল হাতে নিয়ে প্রথম ওভারেই সাফল্য পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তার বলে ড্রাইভ করতে চেয়েছিলেন আম্বাতি রাইডু। ঠিকভাবে করতে না পারায় ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহীমের হাতে। ৭ বলে ২ রান করেছেন রাইডু।
৮ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৪৮ রান। ২৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন দিনেশ কার্তিক।
ধাওয়ানকে ফেরালেন অপু
আফগানিস্তানের বিপক্ষেই ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটা পেতে পারতেন নাজমুল ইসলাম অপু। সেদিন হয়নি ক্যাচ মিসে। তবে ভারতের বিপক্ষে শেখর ধাওয়ানের উইকেট নিয়েই প্রথম ওয়ানডে উইকেটের স্বাদ পেলেন অপু। তার ওভারের তৃতীয় বলে দারুণ একটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন ধাওয়ান। পরের বলে আরও একটি মারতে গেলে লংঅফে ধরা পড়েন সৌম্য সরকারের হাতে। ১৪ বলে ১৫ রান করেছেন ধাওয়ান।
৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৫ রান। ২০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন আম্বাতি রাইডু।
লিটনের সেঞ্চুরির পরও বাংলাদেশ সংগ্রহ ২২২
১২০ রানের ওপেনিং জুটিতে দলের উড়ন্ত সূচনা। এরপরই ছন্দ পতন। এক প্রান্তে উইকেট পতনের মিছিলে যোগ দিলেন ব্যাটসম্যানরা। তবে অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করছিলেন লিটন কুমার দাস। কিন্তু তার প্রতিরোধ শেষ হলো আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে। সঙ্গে তিনটি রানআউট। ফলে লড়াই করার জন্য বড় পুঁজি পায়নি টাইগাররা। ৪৮.৩ ওভারে ২২২ রানেই অলআউট হয় দলটি।
অথচ এদিন প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত খেলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। লিটনের সঙ্গে যখন ব্যাট করছিলেন তখন মনে হচ্ছিল ৩০০ রানও সম্ভব। কিন্তু পরের ব্যাটসম্যানরা দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ হলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টাইগারদের।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১২১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন লিটন। ১৭১ বলে ১২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। শেষ দিকে দারুণ ব্যাট করছিলেন সৌম্য সরকারও। রানআউট হওয়ার আগে ৪৫ বলে ৩৩ রান করেছেন তিনি। এছাড়া মিরাজ করেন ৩২ রান। এ তিন ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পেরেছেন। ভারতের পক্ষে কুলদিপ যাদব ৩টি ও কেদার যাদব ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
বাংলাদেশ: ২২২ (৪৮.৩ ওভার) (লিটন ১২১, মিরাজ ৩২, ইমরুল ২, মুশফিক ৫, মিঠুন ২, মাহমুদউল্লাহ ৪, সৌম্য ৩৩, মাশরাফি ৭, নাজমুল ৭, মোস্তাফিজ ২*, রুবেল ০; ভুবনেশ্বর ০/৩৩, বুমরাহ ১/৩৯, চাহাল ১/৩১, কুলদিপ ৩/৪৫, জাদেজা ০/৩১, কেদার ২/৪১)।
আবারো ভুল বোঝাবোঝিতে রানআউট
লিটন দাসের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝির শিকার হয়ে রানআউট হয়েছিলেন ইনফর্ম মোহাম্মদ মিঠুন। এবার সৌম্য সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝিতে আউট হলেন নাজমুল ইসলাম অপু। বোলার হলেও উইকেটে নেমে সাবলীল ভাবেই খেলছিলেন তিনি। ১৩ বলে ৭ রান করেছেন অপু।
৪৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২১৩ রান। ২৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সৌম্য সরকার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
দ্রুত ফিরে গেলেন মাশরাফিও
রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কুলদিপ যাদবের বলে একটি ছক্কাও মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু আরও একটি মারতে গিয়ে মিস করেন তিনি। তড়িৎ গতিতে বল ধরে তাকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ধোনি। ৯ বলে ৭ রান করেছেন অধিনায়ক।
৪৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৯৬ রান। ১৯ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সৌম্য সরকার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন নাজমুল ইসলাম অপু।
স্টাম্পিংয়ে ফাঁদে পরে লিটনের বিদায়
‘বেনিফিট অব ডাউট’ সবসময়ই যায় ব্যাটসম্যানের পক্ষে। লিটন দাসের স্টাম্পিং বেশ লম্বা সময় দেখে সিদ্ধান্ত দিলেন বোলারের পক্ষে। কুলদিপ যাদবের বলে এগিয়ে গিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন লিটন। মিস করলে বল ধরে স্টাম্প ভাঙেন ধোনি। ততক্ষণে উইকেটে পা ঢুকিয়ে ফেলেন লিটন। খুব কাছাকাছি থাকায় সিদ্ধান্ত যাওয়ার কথা ব্যাটসম্যানের পক্ষে। কিন্তু দিলেন বোলারের পক্ষে। ফলে লিটনের সংগ্রাম শেষ হয় ১২১ রানে।
৪১ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৮ রান। ১৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন সৌম্য সরকার। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা।
মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে বড় চাপে বাংলাদেশ
একের পর এক উইকেটের পতনে চাপে পরা বাংলাদেশের রান রেট কমতে শুরু করেছিল। তাই দেখেই হয়তো রানের গতি বাড়াতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু কি করলেন। উল্টো বাংলাদেশকে বড় চাপে ফেলে দিয়েছেন তিনি। কুলদিপ যাদবের বলে সীমানায় ক্যাচ দিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহর হাতে। ১৬ বলে ৪ রান করেছেন তিনি।
৩৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫২ রান। ১০৪ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন সৌম্য সরকার।
লিটনের প্রথম সেঞ্চুরি
শুরু থেকেই দারুণ খেলছিলেন লিটন। মাঝে ৫২ রানে অবশ্য বাজে শটে একটি জীবন পেয়েছিলেন তিনি। তবে এরপর আবারও দেখে শুনে খেলে চলেছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। কেদার যাদবের বলে লংঅনে ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেল নিয়ে নিজের সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন তিনি। ৩৩ বলে পঞ্চাশ ছোঁয়া লিটন সেঞ্চুরিতে পৌঁছান ৮৭ বলে। এ রান করতে মেরেছেন ৯টি চার ও দুটি ছক্কা।
২৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৫ রান। ১০০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। ১ রানে উইকেটে আছেন মাহমুদউল্লাহ।
রানআউট মিঠুন
দারুণ একটি জুটির পর দ্রুতই চার উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। মোহাম্মদ মিঠুন আউট হয়েছে রানআউটে কাটা পরে। কুলদিপ যাদবের বলে ড্রাইভ করেছিলেন লিটন। ঝাঁপিয়ে পরে দারুণ ফিল্ডিং করে বল ধরে সে বল ধরে বোলিং প্রান্তে ছুড়ে দেন রবিন্দ্র জাদেজা। এ সময়ে ভুল বোঝাবোঝির কারণে স্ট্রাইক প্রান্তে বাংলাদেশের দুই ব্যাটসম্যান। বল ধরে যাদব উইকেট ভাঙলে আউট হয়ে যান মিঠুন। ৪ বলে ২ রান করেন তিনি।
২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৩৯ রান। ৯৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মাহমুদউল্লাহ।
মুশফিকের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ
এশিয়াকাপে দারুণ ছন্দে ছিলেন মুশফিকুর রহীম। তার উপর আলাদা প্রত্যাশা ছিল দলের। কিন্তু ফাইনালে হতাশ করেছেন এ ব্যাটসম্যান। কেদার যাদবের বলে বাজে শটে মিড উইকেটে জাসপ্রিত বুমবাহর হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। তার বিদায়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ। ৯ বলে ৫ রান করেছেন মুশফিক।
২৭ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৮ রান। ৯৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদ মিঠুন।
মিরাজের পর ইমরুলের বিদায়
জাজভেন্দ্রা চাহালের বলে ইমরুল কায়েসকে কট বিহাইন্ডের আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। ব্যাট না লাগায় রিভিউ নিয়েছিলেন ইমরুল। রিপ্লেতে দেখা যায় ব্যাট লাগেনি বল। কিন্তু দুর্ভাগ্য তার, পরে যান এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। লেগ স্টাম্পের বাইরে বল ফেললেও আম্পায়ার্স কলের কারণেই আউট হন ইমরুল। ১২ বলে ২ রান করেন তিনি।
২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৮ রান। ৯২ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন মুশফিকুর রহীম।
মিরাজের বিদায়ে ভাঙল জুটি
বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে ফিরে গেলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পার্ট টাইম বোলার কেদার যাদবের বলে কাভারের উপর দিয়ে সীমানা পার করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কাভার পয়েন্টে ধরা পড়েন আম্বাতি রাইডুর হাতে। আউট হওয়ার আগে ৫৯ বলে ৩২ রান করেছেন মিরাজ। লিটনের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে করেছেন ১২০ রান।
২১ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ ১ উইকেটে ১২০ রান। ৮৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন ইমরুল কায়েস।
উইকেট না হারিয়েই বাংলাদেশের শতরান পার
এশিয়া কাপে আগের প্রতিটি ম্যাচেই পাওয়ার প্লেতেই কমপক্ষে দুটি উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ফাইনালের মঞ্চে বড় চমক দিয়েছে তারা। কোন উইকেট না হারিয়ে শতরানের জুটি গড়েছে তারা। দারুণ ব্যাট করছেন লিটন কুমার দাস। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে ব্যাট করতে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১০২ রান। ৭৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। মাত্র ৫৬ বলে এ রান করেছেন তিনি। তবে কিছুটা ধীর স্থির ব্যাটিং করছেন মিরাজ। উইকেটে আছেন ২৭ রানে।
লিটনের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি
এশিয়া কাপে একটি ম্যাচেই বলার মতো কিছু রান করেছিলেন লিটন দাস। বাকি চার ম্যাচেই ছিলেন ব্যর্থ। তবে জ্বলে ওঠার জন্য ফাইনালকেই বেছে নিয়েছেন এ ওপেনার। বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে নিজেই করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। মাত্র ৩৩ বলেই ফিফটি স্পর্শ করেন এ ওপেনার। রবিন্দ্র জাদেজার বলে চার মেরেই হাফ সেঞ্চুরিতে পৌঁছান এ ব্যাটসম্যান।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৭৪ রান। ৫৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। মিরাজ উইকেটে আছেন ১৭ রানে।
ঝড়ো গতিতেই বাংলাদেশের পঞ্চাশ
তামিম ইকবাল ইনজুরিতে পরার পর পরীক্ষা নিরীক্ষা কম হয়নি। কোন কিছুতেই যেন কাজ হচ্ছিল না। তবে ফাইনালে চমক উপহার দিয়েই জ্বলে উঠলে দুই ওপেনার। শুরুতে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামলেন মেহেদী হসান মিরাজ। পরে দারুণ ব্যাটিং উপহার দিলেন লিটন কুমার দাসের সঙ্গে। ৭.৪ ওভারেই দলীয় ফিফটি স্পর্শ করে টাইগাররা।
৯ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৬৪ রান। ৪৬ রান নিয়ে ব্যাট করছেন লিটন। মাত্র ২৯ বলে এ রান করেছেন তিনি। মিরাজ উইকেটে আছেন ১৬ রানে।
চমক দিয়ে ওপেনিংয়ে মিরাজ
আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে চমকের কথা জানিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি। বলেছিলেন কাউকে দেখা যাবে যে কি না কখনোই জাতীয় দলের হয়ে ওপেন করেননি। ফাইনালে দেখাও গেল তা। দুর্দশা কাটাতে মেহেদী হাসান মিরাজকে দিয়ে ওপেনিং করানো হচ্ছে। তবে তার সঙ্গী হিসেবে আছেন লিটন কুমার দাসই।
২ ওভার শেষে বাংলাদেশ দলের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৮ রান। মিরাজ ৫ ও লিটন ৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন।
মুমিনুলের জায়গায় অপু
ভাগ্য বদলাতে একাদশে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ দল। ব্যাটসম্যান কমিয়ে স্পিন শক্তি বাড়িয়েছে তারা। ভারত দলে ডান হাতি ব্যাটসম্যানের আধিক্যের কারণে বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল ইসলাম অপুকে অন্তর্ভুক্ত করেছে তারা। তাকে জায়গা দিতে একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন মুমিনুল হক।
তবে বরাবরের মতো এদিনও ওপেনিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকছেই টাইগারদের। লিটন কুমার দাসের সঙ্গে এদিন ওপেনিংয়ে দেখা যেতে পারে ইমরুল কায়েসকে। যদিও অধিনায়ক মাশরাফি চমকের কথাই জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে নতুন কোন জুটিও দেখা যেতে পারে ওপেনিংয়ে।
বাংলাদেশ দল : লিটন কুমার দাস, ইমরুল কায়েস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ মিঠুন, সৌম্য সরকার, মেহেদী হাসান মিরাজ, মাশরাফি বিন মর্তুজা, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
ভারত দলে পাঁচ পরিবর্তন
আফগানিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বহীন ম্যাচে প্রথম সারির পাঁচ খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দিয়েছিল ভারত। তবে ফাইনালে ফিরে এসেছেন তারা। অধিনায়ক রোহিতের সঙ্গে একাদশে ঢুকেছেন শেখর ধাওয়ান, ভুবনেশ্বর কুমার, জাজভেন্দ্রা চাহাল ও জাসপ্রিত বুমবাহ।
ভারত দল : শেখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মা, আম্বাতি রাইডু, দিনেশ কার্তিক, মহেন্দ্র সিং ধোনি, কেদার যাদব, রবিন্দ্র জাদেজা, ভুবনেশ্বর কুমার, কুলদিপ যাদব, জাজভেন্দ্রা চাহাল ও জাসপ্রিত বুমবাহ।
শিরোপা লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আরও একটি এশিয়া কাপ। আবারো একটি ফাইনালে বাংলাদেশ। এর আগে প্রতিটি ফাইনালেই হেরেছে বাংলাদেশ। এবার কি ফাইনালে নিজেদের ভাগ্য বদলাতে পারবে টাইগাররা? শুরুতে ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। টস জিতে নিয়েছেন ভারতীয় দলের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বেছে নিয়েছেন ফিল্ডিং।
প্রথমবার কোন টুর্নামেন্টের শিরোপা জিততে শুরুতে ব্যাটিং করবে টাইগাররা। তবে টস হারে বড় কোন সমস্যা হয়নি তাদের। কারণ টস জিতলে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ব্যাটিংই নিতেন। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে ৫টায়।
Comments