ক্ষমতায় গেলে ১২ লক্ষ্য পূরণের প্রতিশ্রুতি বিএনপির

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রোববার বিএনপির জনসভায় আসা কয়েক হাজার নেতাকর্মী। ছবি: আমরান হোসেন

আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও একই সঙ্গে আন্দোলন জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে ১২টি লক্ষ্যের কথা জানানো হয়েছে। দলটির নেতারা বলেছেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় গেলে এসব লক্ষ্য পূরণ করা হবে।

গতকাল রোববার প্রায় ১১ মাস পর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করেছে বিএনপি। দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। তবে দুর্নীতি মামলায় কারাগারে থাকায় তার আসনটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল। জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। মির্জা ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা এতে বক্তব্য দেন।

জনসভা থেকে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তিসহ সাত দফা দাবির কথাও উত্থাপন করেছে বিএনপি। তারা বলেছেন, এসব দাবির ভিত্তিতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বৃহত্তর ঐক্য হবে। জনসভা থেকে দলটি ৩ অক্টোবর সব জেলা শহরে ও ৪ অক্টোবর সব মহানগরে সমাবেশ করে জেলা ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচির কথা জানিয়েছে।

বিএনপির ১২টি লক্ষ্যের মধ্যে আছে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিচার, প্রশাসন ও নির্বাহী বিভাগ গড়ে তোলা; স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক শক্তিশালী ও কার্যকর করা; গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা, দুর্নীতি দমন কমিশনকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া; সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়-এই নীতি অনুসরণ; কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদকে আশ্রয় না দেওয়া; নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা; বেকার ভাতা চালু করা; স্বাস্থ্য ও কৃষিবিমা চালু করা; বিদ্যুৎ, জ্বালানি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা; স্নাতক পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা; নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা নিশ্চিত করা; স্থানীয় সরকারকে আধুনিক ও যুগোপযোগীভাবে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়া; প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং জাতীয় ঐকমত্য গঠন করা।

 মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে আমরা এসব লক্ষ্য পূরণ করব।’

আর দাবিসমূহের মধ্যে রয়েছে, তফসিল ঘোষণার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, জাতীয় সংসদ বাতিল করা, সরকারের পদত্যাগ ও সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করা, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ভোটকেন্দ্রে বিচারিক ক্ষমতাসহ সশস্ত্র বাহিনী নিয়োগ, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করা, নির্বাচনে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নিয়োগ ও তাদের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ না করা, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, তফসিল ও নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত রাজনৈতিক মামলা স্থগিত, নতুন মামলা না দেওয়া এবং পুরনো মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার না করা, কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনকারীদের এবং সাংবাদিকদের আন্দোলন ও মতপ্রকাশের কারণে দেওয়া মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে।

এসব দাবি ও লক্ষ্যের কথা ঘোষণা করে মির্জা ফখরুল বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

Comments

The Daily Star  | English

DU JCD leader stabbed to death on campus

Shahriar Alam Shammo, 25, was the literature and publication secretary of the Sir AF Rahman Hall unit of Jatiyatabadi Chhatra Dal

1h ago