ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনায় জাহাঙ্গীরনগরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। মীর মশাররফ হোসেন হল এবং রফিক জব্বার হল ছাত্রলীগের কয়েকজনের দ্বারা ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর মীর মশাররফ হোসেন হল এবং আর বেরুনী হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৩০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। মীর মশাররফ হোসেন হল এবং রফিক জব্বার হল ছাত্রলীগের কয়েকজনের দ্বারা ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতের পর মীর মশাররফ হোসেন হল এবং আর বেরুনী হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।

আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। মেডিকেল সেন্টারে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু জাফর মো. সালেহ জানান, ১০ থেকে ১২ জনকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে জনস্বাস্থ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান, হিসাববিজ্ঞান এবং তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সোহেল রানা, পরিসংখ্যান বিভাগের মেহেদী হাসান কাব্য, ব্যবস্থাপনা বিভাগের করিম রেজা ও শহর এবং আঞ্চলিক পরিকল্পনা বিভাগের আজিম রতন, সাকিব এবং হানিফ গুরুতর আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, মীর মশাররফ হোসেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা লোহার রড, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আল বেরুনী হলের সামনে তাদের প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।

সূত্রের বরাতে জানান গেছে, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ও তার বন্ধুরা গতকাল রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌরঙ্গী মোড় এলাকায় কয়েকজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করেন।

পরে ছাত্রীরা তাদের বন্ধু আল বেরুনী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আশিককে ঘটনাটি জানান। এরপর ছাত্রলীগ কর্মী আশিক ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাঈদকে মারধর করেন।

এ খবর শুনে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ভাইস-প্রেসিডেন্ট আজিম রতন, দেবাশীষ মিত্র এবং রবিউলের নেতৃত্বে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৫০ থেকে ৬০ জন কর্মী রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে আল বেরুনী হলে হামলা চালায়।

এদিকে ছাত্রী উত্যক্তের ঘটনাকে অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত সাঈদ। তার ওপর চালানো হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনার বিচারের দাবিতে গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন কলা ও বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার হলে তালা লাগিয়ে দেন আল বেরুনী হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ পরিস্থিতিতে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের উপক্রম হলে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা সরে যান। এতে নির্দিষ্ট সময়ের ৩০ মিনিট পরে জীববিজ্ঞান অনুষদের `ডি’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago