সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নজর রাখছে পুলিশের ১০০ টিম

দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজর রাখছে পুলিশের প্রায় ১০০টি দল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো ঘটনা ঘটেছে। সে কারণেই ইন্টারনেটে ভুল খবর ও গুজব ঠেকাতে পুলিশ তৎপর হয়েছে।
ইউটিউবে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে ইউটিউব চ্যানেল এসকে টিভির এডমিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। ছবি: রাফিউল ইসলাম

দেশজুড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর নজর রাখছে পুলিশের প্রায় ১০০টি দল। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির মতো ঘটনা ঘটেছে। সে কারণেই ইন্টারনেটে ভুল খবর ও গুজব ঠেকাতে পুলিশ তৎপর হয়েছে।

সম্প্রতি কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর অভিযোগ ওঠার পর এ ধরনের ওয়েবসাইটগুলোতে মানুষের কার্যকলাপের ওপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল পুলিশ।

পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (গণমাধ্যম) সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সামাজিক মাধ্যমে নজর রাখতে প্রত্যেক দলে একজন করে সহকারী পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে চার জন সদস্য থাকছেন। গত মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই তারা কাজ শুরু করেছেন। তাদের কাজের তত্ত্বাবধান করছে পুলিশ সদরদপ্তরের সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ দল।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সাইবার জগতে নজরদারি চালানোর জন্য ইতিমধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছে। প্রস্তাবিত সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কাজ করবেন। দলগুলোর কাজ যারা তত্ত্বাবধান করছেন তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুল খবর ছড়ানোর হচ্ছে বলে নিশ্চিত হলে তা প্রতিরোধের জন্য পুলিশের অন্যদের জানিয়ে দিবেন।

সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোতে থাকা একজন শীর্ষ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সামাজিক মাধ্যমে নজর রাখা বিশেষ এই দলগুলো ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করবেন। এর মাধ্যমে গোপনীয় নয় এমন কার্যকলাপ বা ব্যবহারকারীর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে যেসব সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় তার মাধ্যমে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী ধর্মীয় বিদ্বেষ বা এ ধরনের কোনো অপরাধ করছেন কি না সেটির ওপরও নজর রাখা যায়।

উল্লেখ্য, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে ইতিমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত পেলেই তারা তাদের কাজ শুরু করবেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago