ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ায় পঞ্চম বাংলাদেশ

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সারা বিশ্বে দ্রুত হারে বাড়তে থাকার মধ্যেই এশিয়ার দেশগুলোর ভেতর ইন্টারনেট ব্যবহারে পঞ্চম অবস্থানে নাম এসেছে বাংলাদেশের।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা সারা বিশ্বে দ্রুত হারে বাড়তে থাকার মধ্যেই এশিয়ার দেশগুলোর ভেতর ইন্টারনেট ব্যবহারে পঞ্চম অবস্থানে নাম এসেছে বাংলাদেশের।

ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড স্ট্যাটের সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে বাংলাদেশে ৮ কোটিরও বেশি লোক ইন্টারনেট সুবিধার আওতায় এসেছে। ২০০০ সালে এই সংখ্যা ছিল মাত্র এক লাখ।

তথ্য বলছে, ৭৭ কোটি ২০ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী নিয়ে চীন সবার ওপরে রয়েছে। এর পরেই ভারত, ইন্দোনেশিয়া এবং জাপান রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

২ কোটি ২০ লাখ থেকে ৭৭ কোটি ২০ লাখ লোককে ইন্টারনেট ব্যবহারের আওতায় আনতে পারার বিশাল কৃতিত্ব দেখিয়েছে চীন। দেশটিতে ইন্টারনেট প্রাপ্যতার হার ৫৫ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছেছে, যা বৈশ্বিক গড় প্রাপ্যতার হারের চেয়েও ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি।

ডিজিটাল যুগে প্রবেশের নামে বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই ইন্টারনেটের ব্যবহার ব্যাপকহারে বেড়েছে। এশিয়ার দেশগুলো গত ১৭ বছরে তথ্য-প্রযুক্তির এ খাতে প্রভাবশালী প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।

২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে ভারতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে এক লাফে ৪৬ কোটি ২০ লাখে পৌঁছে। আশা করা হচ্ছে, এ বছর এ সংখ্যা বেড়ে ৫০ কোটিতে দাঁড়াবে।

ইন্দোনেশিয়ায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০ লাখ থেকে ১৪ কোটি ৩০ লাখে এসে দাঁড়িয়েছে। জাপানে এ সংখ্যা ১১ কোটি ৮০ লাখ।

ফিলিপাইনে ৬ কোটি ৭ লাখ এবং ভিয়েতনামে ৬ কোটি ৪০ লাখ মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় এসেছে। থাইল্যান্ডে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এখন ৫ কোটি ৭০ লাখ।

পাকিস্তানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৩ লাখ, কিন্তু গত বছরের শেষদিকে এ সংখ্যা ৪ কোটি ৪০ লাখে এসে ঠেকেছে।

তবে এই অগ্রগতি সত্ত্বেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এখনও ইন্টারনেট সংযোগ নির্বিঘ্ন ও সহজলভ্য করতে উন্নয়ন প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখানে এখনও অবকাঠামো, সাশ্রয়ী মূল্যের যন্ত্রাংশ, তথ্য পরিকল্পনা, ডিজিটাল সাক্ষরতার মতো অনেকগুলি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যেগুলো অতিক্রম করা দরকার।

Comments

The Daily Star  | English
BGMEA to sit at 7.30pm to decide on factory reopening

Owners threaten to shut garment factories from tomorrow if unrest continues

The garment factory owners today decided to shut down their production units from tomorrow under “no work no pay” policy for an indefinite period if the labour unrest continues further

10m ago