ঝুঁকিতে সাকিবের বিশ্বকাপ

এশিয়া কাপের আগেও ভাবনাটা ছিল, টুর্নামেন্টটা খেলেই হাতের অস্ত্রোপচার করাবেন সাকিব আল হাসান। ফিরবেন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এক, দুই সিরিজ পরই। কিন্তু আঙুলের সংক্রমণ পালটে দিয়েছে সব হিসেব নিকেশ। হাতের অবস্থা বুঝতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে এই অলরাউন্ডার জেনেছেন, সংক্রমণ নির্মূল হতে লাগতে পারে অনেকটা সময়। অন্তত ছয়মাসের মধ্যে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা নেই। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে আসছে জুনে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তার খেলা।
Shakib Al Hasan
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে চিকিৎসাধীন সাকিব। ছবি: সংগ্রহ

এশিয়া কাপের আগেও ভাবনাটা ছিল, টুর্নামেন্টটা খেলেই হাতের অস্ত্রোপচার করাবেন সাকিব আল হাসান। ফিরবেন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় এক, দুই সিরিজ পরই। কিন্তু আঙুলের সংক্রমণ পালটে দিয়েছে সব হিসেব নিকেশ। হাতের অবস্থা বুঝতে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে এই অলরাউন্ডার জেনেছেন, সংক্রমণ নির্মূল হতে লাগতে পারে অনেকটা সময়। অন্তত ছয়মাসের মধ্যে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা নেই। এতে ঝুঁকিতে পড়েছে আসছে জুনে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তার খেলা।

এশিয়া কাপের মধ্যেই চোট বেড়ে যাওয়ায় দেশে ফেরেন সাকিব। ব্যথায় কাতর হয়ে হাসপাতালে গিয়ে ধরা পড়ে সংক্রমণ। বা হাতের আক্রান্ত কড়ে আঙুল থেকে বের করা হয় পুঁজ।

কিছুটা সুস্থ হয়ে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে যান সাকিব। সেখানে অ্যাপওয়ার্থি হাসপাতালে ডা. গ্রেগ হয়ের তত্ত্বাবধানে ৭২ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে আছেন দুই ফরম্যাটের বাংলাদেশ অধিনায়ক। জানা গেছে, আরও আটদিন মেলবোর্নেই থাকতে হবে তাকে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই দ্য ডেইলি স্টারকে সাকিব জানিয়েছেন নিজের হাতের সর্বশেষ অবস্থা, ‘ইনফেকশনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে অপারেশনের কোন চান্স নেই। ইনফেকশন থাকা অবস্থায় করলে (অপারেশন) তো হাত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এই রিস্ক তো কেউ নিবে না। ইনফেকশন  শতভাগ নির্মূলের অপেক্ষা করতে হবে।’

মূল ইনজুরি থেকে সাকিবের চিকিৎসায় দুশ্চিন্তার জায়গা এখন সংক্রমণ। এই সংক্রমণ পুরোপুরি কমা নিশ্চিত তো হতেই হবে, সেইসঙ্গে আবার তা ফিরে আসে কিনা তা দেখেই নিতে হবে পরের সিদ্ধান্ত। সাকিবই জানিয়েছেন বাস্তব অবস্থা,  ‘দেড়-দুই মাস মেডিসিন চলার পর দেখতে হবে যে ইনফেকশন আবার বাড়ে কিনা। তারপর ট্রায়াল বেসিসে খেলে দেখব ব্যথা বাড়ে কিনা। তখন আরেকটি পরীক্ষার পর যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ছয় মাস পর অস্ত্রোপচার।’

অস্ত্রোপচার ছাড়াই এই ইনজুরি সেরে উঠার একটা কথা শোনা যাচ্ছিল। সেটা হবে কিনা, জানা যাবে আরও তিন মাস পর। তবে এই ধরনের ইনজুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া সেরে উঠার সম্ভাবনা সাকিব নিজেও খুব বেশি দেখছেন না।

শঙ্কার জায়গাটা এখানেই। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে ২ জুন বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের বাকি আছে আট মাসেরও কম সময়। যদি ছয় মাস পর সাকিবের হাতে অস্ত্রোপচার হয় তাহলে তা থেকে সেরে উঠতে লাগবে আরও ছয় থেকে আট সপ্তাহ। ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পেতে লাগতে পারে আরও সময়।

চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে ফিল্ডিং করতে গিয়ে বা হাতের কনিষ্ঠা আঙুলে চোট পান সাকিব, নড়ে যায় আঙুলের হাড়।  সাময়িক চিকিৎসায় সেরে উঠে নিদহাস কাপের মাঝপথেই খেলায় ফিরেছিলেন তিনি। ব্যথানাশক ইনজেকশন পরে খেলেছেন একের পর এক সিরিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর স্থায়ী সমাধানের জন্য চোটগ্রস্থ আঙুলে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন দেখেন চিকিৎসকরা। সুবিধাজনক সময়ে সেই অস্ত্রোপচার করানো যাবে, চিকিৎসকদের এমন আশ্বাসের পর সাকিবের এশিয়া কাপে খেলার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English
As things stand, Bangladesh election is all but doomed

244 aspirants to fight for 20 seats in Dhaka

A total of 21 aspirants, the highest of all seats, will contest for the Dhaka-5 constituency, which consists of areas of Demra and a part of Kadamtali

19m ago