ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর
![Abdul Hamid Abdul Hamid](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/abdul-hamid-1.jpg?itok=gHnKpPE9×tamp=1639984733)
জাতীয় সংসদে সদ্য পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ। এর মধ্য দিয়ে এটি এখন আইনে পরিণত হলো। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন স্বাক্ষরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাংবাদিক, সম্পাদক, সুশীল সমাজসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন পক্ষের তীব্র আপত্তির পরও বিতর্কিত বিভিন্ন ধারা বহাল রেখে গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিলটি জাতীয় সংসদে পাস হয়। এমনকি সংসদের ভেতরেও আইনটির বিভিন্ন ধারা নিয়ে সমালোচনা হয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের জন্য বিলটিকে ৪ অক্টোবর বঙ্গভবনে পাঠানো হয়েছিল।
সমালোচকরা বলছেন, এই আইনের কারণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের বাক স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়বে। আইনটি অপপ্রয়োগের সমূহ আশঙ্কা রয়েছে বলে তারা মনে করেন।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা বিলে স্বাক্ষর না করতে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল সাংবাদিকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদকে চিঠি দিয়ে তারা বিলটিকে পুনর্বিবেচনার জন্য সংসদে ফেরত পাঠানোরও আহ্বান জানান। অনুরূপ আহ্বান জানিয়েছেন দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ।
সংসদে পাশ হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে গত ৩ অক্টোবর গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, যারা বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা করে, এই আইন নিয়ে তাদের উদ্বেগের কোন কারণ নেই।
তিনি বলেন, এখানে উদ্বিগ্ন তারাই বেশি হবে, যারা এতদিন ধরে খুব তৈরি হয়ে রয়েছে যে, নির্বাচন আসলেই বা তফসিল ঘোষণা হলেই আমাদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা খবর প্রচার করবে।
তিনি বলেন, এই আইনের একটি ধারা রয়েছে, কেউ কারো বিরুদ্ধে যদি কোন মিথ্যা তথ্য দেয় তাহলে সেই মিথ্যা তথ্যটা তাকে প্রমাণ করতে হবে যে, এটা সত্য। যদি সে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয় তাহলে সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে বা যে পত্রিকা বা ইলেকট্রনিক মিডিয়া বা ডিজিটাল ডিভাইস এটা প্রকাশ বা ব্যবহার করবে, তাদের সবাইকে শাস্তি পেতে হবে। যার বিরুদ্ধে লিখবে তার যে ক্ষতি হবে তার ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
Comments