যার যা সাজা

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ছাড়াও আরও ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও অপর ১৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
গ্রেনেড হামলার পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে ক্ষতবিক্ষত লাশ। বিস্ফোরণের সময় এই ট্রাকটিকে অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে ভাষণ দিচ্ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: স্টার

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু ছাড়াও আরও ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও অপর ১৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ১৯ জন হলেন: সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, এনএসআই মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আবদুর রহিম, মাওলানা শেখ আবদুস সালাম, মো. আবদুল মাজেদ ভাট ওরফে মো. ইউসুফ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোহাম্মদ ওরফে জিএম, মাওলানা শওকত ওসমান ওরফে শেখ ফরিদ, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন ওরফে খাজা ওরফে আবু জানদাল ওরফে মাসুম বিল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম ওরফে সবুজ ওরফে খালিদ সাইফুল্লাহ ওরফে শামিম ওরফে রাশেদ, মো. উজ্জ্বল ওরফে রতন, মাওলানা মো. তাজউদ্দীন এবং মো. হানিফ।

এদের মধ্যে ১৭ জন বর্তমানে কারাগারে আছেন। আর পলাতক দুজন হলেন আবদুস সালাম পিন্টুর ভাই ও জঙ্গিনেতা মাওলানা মো. তাজউদ্দীন এবং হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ।

যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত ১৯ জন হলেন: শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ ওরফের আবু ওমর আবু হোমাইরা ওরফে পীরসাহেব, মাওলানা সাব্বির আহমদ ওরফে আবদুল হান্নান সাব্বির, আরিফ হাসান ওরফে সুজন ওরফে আবদুর রাজ্জাক, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, আবু বকর ওরফে হাফে সেলিম হাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ, তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়া, হারিছ চৌধুরী, মহিবুল মোত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল, জাহাঙ্গীর আলম বদর ওরফে ওস্তাদ জাহাঙ্গীর, মো. ইকবাল, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং রাতুল আহম্মেদ বাবু ওরফে বাবু ওরফে রাতুল বাবু। এদের মধ্যে প্রথম ছয় জন বাদে ১৩ জন পলাতক রয়েছেন।

এছাড়া হত্যা ও গ্রেনেড বিস্ফোরণের দুই মামলায় ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের সাবেক আইজি আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হককে মোট চার বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক ডিজিএফআই কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (বরখাস্ত) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার এবং মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আমিনকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাইদ হাসান এবং অপর সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) মো. ওবায়দুর রহমানকেও চার বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সাবেক আইজিপি খোদা বকশ চৌধুরী, সিআইডির সাবেক এসপি রুহুল আমিন এবং সাবেক এএসপি আতিকুর রহমানকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago