ফজলে রাব্বিকে নিয়ে নির্বাচকদের অনেক প্রত্যাশা
অনেকটা চমক দিয়ে ৩০ বছর বয়সে প্রথমবার জাতীয় দলে আসা ফজলে রাব্বিকে দিয়ে মিডল অর্ডারে ব্যাট করানোর চিন্তা করছেন নির্বাচকরা। সেইসঙ্গে তার চলনসই বাঁহাতি স্পিন মিলিয়ে জিম্বাবুয়ে সিরিজে সাকিব আল হাসানের অভাব পূরণের চেষ্টাতেও আছে দল। নির্বাচক হাবিবুল বাশারের ভাষায়, সব মিলিয়ে ফজলে রাব্বি দলের জন্য বেশ ‘আকর্ষনীয় প্যাকেজ।’
১৫ বছর ধরে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণিতে খেলে চলেছেন রাব্বি। ক্যারিয়ারের শুরুতে জাতীয় দলের স্বপ্ন থাকলেও ব্যাটে-বলে না মেলায় হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দিয়েছিলেন। ক্রিকেট বাদ দিয়ে ৯টা-৫টা চাকরিও করেছেন। মনের টানেই ফিরতে হয়েছে ক্রিকেটে। জীবনে পালাবদলের ভিন্নরকমের গল্প লেখিয়ে এখন তিনি লাল সবুজ জার্সিধারি।
নির্বাচক হাবিবুল বাশার কাছ থেকে দেখেছেন রাব্বির পথচলা। আগ্রাসী কিন্তু অস্থির ব্যাটসম্যান থেকে দেখেছেন তার পরিণত হওয়া, থিতু হয়ে এগিয়ে চলা, ‘ওর ক্যারিয়ারটা কিন্তু বেশ ইন্টারেস্টিং। সে আমাদের এইচপি স্কোয়াডে ছিল, পাঁচ ছয় বছর আগে। তখন কিন্তু খুবই প্রতিশ্রুতিশীল উঠতি তারকা ছিল। তারপর অফ ফর্মে চলে গিয়েছিল। শেষ তিন বছর ধরে সে অনেক বদলে গেছে। ওর খেলায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সে এখন অনেক পরিণত। এ দলের সফর গুলোতে দেখেছি, খুব ভাল ব্যাটিং করছে।’
‘আমি তাকে অনেক আগে থেকেই দেখেছি। ওর ব্যাটিংটা এখন অনেক বদলে গেছে। আগে খুব রোমাঞ্চকর ব্যাটিং করত, আগ্রাসী ব্যাটিং করত। কিন্তু এখন আমি দেখছি সে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যাটিং করে থাকে। প্রান্ত বদল করে খেলে। একই সাথে যখন দরকার তখন বড় শট খেলার সামর্থ্য রাখে।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটের বাস্তবতায় ৩০ বছরে অনেকে ক্যারিয়ারের শেষই দেখে বসেন। রাব্বির সেখানেই হচ্ছে শুরু। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিবেচনার বাইরে যেতে দেয়নি তার ফিটনেস, ‘বয়সটা একটু বেশি হয়ে গেছে, আমরা এমন খুব কম দেখি। কিন্তু ওর ফিটনেস খুব ভাল। সে একজন ফিট ক্রিকেটার, আর আমাদের একজন ব্যাটসম্যান দরকার ছিল, ঠিক সাকিব আল হাসানের মত না হলেও সে বোলিং করতে পারে। আমরা দেখেছি, ওর বোলিংটাও বেশ কার্যকরী। সেই বিবেচনায় এসেছে। আর আমার মনে হয় এখনকার প্রেক্ষাপটে ৩০ বছর খুব একটা বেশি না। আশা করি সে আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে। ’
ফজলে রাব্বির আরেকটি গুন তাকে আলাদা করে রেখেছে অন্যদের থেকে। এক থেকে সাত, তিনি ব্যাট করতে পারেন নানান পজিশনে। জিম্বাবুয়ে সিরিজে তিনি কোথায় খেলবেন তারও ইঙ্গিত দিয়েছেন হাবিবুল, ‘ও শুরু করেছিল একজন ওপেনার হিসেবে। সেখান থেকে ৩ নম্বরে ব্যাট করেছে। এখন সে মিডেল অর্ডারে, পাঁচ-ছয়ে ব্যাট করছে। এ দলের হয়ে সফর গুলোতে পাঁচ ছয়ে ব্যাট করেছে সে, কিন্তু তিন নম্বরে সে ব্যাট করতে পারে। ওর জন্য তিন থেকে পাঁচ ছয়ের মধ্যে ব্যাট করা আদর্শ হবে, মূলত মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলবে।’
Comments