মিরান্ডার শেষ মুহূর্তের গোলে আর্জেন্টিনাকে হারালো ব্রাজিল
পুরো ম্যাচেই ছিল ব্রাজিলের দাপট। বল পজিশন, গোলে শট, আক্রমণ তৈরি সব কিছুতে এগিয়ে থেকেও নেইমাররা পাচ্ছিলেন না জালের ঠিকানা। ড্রর দিকে এগিয়ে যাওয়া ম্যাচে একদম শেষ মুহূর্ত ব্যবধান গড়েন ডিফেন্ডার মিরান্ডা। তার লাফানো হেড খুঁজে পায় আর্জেন্টিনার জাল।
মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় প্রীতি ম্যাচে মিরান্ডার ওই গোলেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে ব্রাজিলের এটি তৃতীয় জয়। রাশিয়া বিশ্বকাপের পর খেলা চার ম্যাচের সবকটিতেই জিতল ব্রাজিল।
খেলার শুরু থেকে বল দখল রেখে আক্রমণ তৈরি করতে থাকে ব্রাজিল। তবে প্রথম বলার মতো সুযোগ পায় আর্জেন্টিনাই। ডি বক্সের বাইরে থেকে জিওভান্নি লে সেলসোর তীব্র গতির শট একটুর জন্য নিশানায় থাকেনি।
২২ মিনিটে গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের ভুলে বিপদে পড়তে যাচ্ছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ব্যাকপাস থেকে বল ধরতে সময় নিয়ে গিয়ে প্রতিপক্ষের ফরোয়ার্ডের পায়ে প্রায় তুলেই দিয়েছিলেন তিনি। কোনমতে পা লাগিয়ে পরে পুষিয়ে নিয়েছেন।
২৮ মিনিটে পরিকল্পিত আক্রমণ থেকে গোল পেতেই পারত ব্রাজিল। ফ্রি-কিক থেকে তৈরি হওয়া বল নানা পা ঘুরে যায় গোলমুখে দাঁড়ানো মিরান্ডার পায়ে। ইন্টার মিলান ডিফেন্ডারের শট গোলরক্ষক সার্জিও রোমেরোকে এড়িয়েও চলে যাচ্ছিল জালের দিকে। কিন্তু গোল লাইনে দাঁড়ানো আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি শরীর দিয়ে ঠেকিয়ে দেন তা। এক মিনিট পর পালটা আক্রমণে গিয়ে ফ্রি-কিক পায় আর্জেন্টিনা। পাওলো দিবালার বা পায়ের শট অল্পের জন্য বাইরে চলে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কিছুটা শরীরী ফুটবলে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমারসহ দুদলের পাঁচজন। এরপর গুছিয়ে নিয়ে ৭০ থেকে ৮৪ মিনিটে বেশ কবারই গোলের সুযোগ আসে ব্রাজিলের সামনে। তাতে কখনো বাধা হন রমেরো, কখনো ব্রাজিলিয়ানদের নিশানা পাকায় তালগোল।
তখনই মনে হচ্ছিল হয়ত ড্র হতে যাচ্ছে দুদলের লড়াই। তবে যোগ করা সময়েও আক্রমণের ধার ধরে চেষ্টা চালাচ্ছিল ব্রাজিল। তেমনই এক আক্রমণ থেকে রিশার্লিসনের শট ঠেকাতে গিয়ে প্রথমার্ধে দলকে রক্ষা করা ওটামেন্দি নিজেদের জালেই ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন প্রায়। সে যাত্রা বাঁচলেও পরের মিনিটেই আর রক্ষা হয়নি। নেইমারের নেওয়া মাপা কর্নার থেকে ক্ষিপ্র গতির হেডে বল জালে পাঠান মিরান্ডা।
Comments