শেষ মুহূর্তের গোলে আর্জেন্টিনার হৃদয় ভাঙল ব্রাজিল
আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল ম্যাচ মানেই টান টান উত্তেজনা। আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণে খেলা। তবে এদিন তার অনেকটাই ছিল অনুপস্থিত। উত্তেজনা যা ছড়িয়েছে ম্যাচের শেষ দিকে। গোলশূন্যভাবেই ম্যাচটি শেষ হতে যাচ্ছিল। জোয়াও মিরান্দার দেওয়া শেষ মুহূর্তের গোলে আর্জেন্টিনার হৃদয় ভাঙে ব্রাজিল। ১-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
ম্যাচের বল নিয়ন্ত্রণেও এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। ৬৩ শতাংশ বল ছিল নেইমারদের পায়ে। তবে জমাট আক্রমণ করতে পেরেছিল খুব কমই। পুরো ম্যাচে গোলবারে শট হয়েছে ২৩টি। যার ১২টি নিয়েছে ব্রাজিল। আর আর্জেন্টিনা ১১টি। তবে এই ১১ শটের মধ্যে মাত্র ১টি ছিল অনটার্গেট। পক্ষান্তরে ব্রাজিলের ছিল ৩টি।
তবে গোল করার মতো প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল আর্জেন্টিনাই। ৮ মিনিটে জিওভানি লো সেলসোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২২ মিনিটে বিপদ প্রায় ডেকে এনেছিলেন গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। সতীর্থের ব্যাকপাস বিপদমুক্ত করতে দেরি করায় তাতে প্রায় পা ছুঁয়ে ফেলেছিলেন আনহেল কোররেয়া। তবে শেষ মুহূর্তে বিপদমুক্ত করেন অ্যালিসন।
৬ মিনিট পর প্রায় গোল পেয়ে যাচ্ছিল ব্রাজিল। আর্জেন্টিনাকে এ যাত্রা রক্ষা করেন নিকোলাস ওতামেন্দি। কাসেমিরোর শট প্রায় গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন ম্যানচেস্টার সিটির এ ডিফেন্ডার। ৭০ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক সের্জিও রোমেরো। নেইমারের ফ্রিকিক থেকে দারুণ এক ভলি করেছিলেন আর্থার মেলো। তবে তার চেয়ে দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ফিরিয়ে দেন আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। ৮৪তম মিনিটে কাসেমিরোর ফ্রিকিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
নির্ধারিত সময়ে গোছানো কোন আক্রমণ না হওয়ায় ম্যাচটি তখন মনে হচ্ছিল গোলশূন্যভাবেই শেষ হবে। কিন্তু যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে সব পাল্টে দেয়। নেইমারের দারুণ এক কর্নার থেকে ফাঁকায় লাফিয়ে উঠে হেড দেন মিরান্দা। বল খুঁজে নেয় জাল। ফলে দারুণ এক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।
Comments