‘উনি হার্টের রোগী ছিলেন’

বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের প্রধানপুরুষ আইয়ুব বাচ্চুর অকাল ও আকস্মিক মৃত্যু সম্পর্কে স্কয়ার হাসপাতালের সার্ভিস বিভাগের পরিচালক ড. মির্জা নাজিমুদ্দিন বলেছেন, “উনি হার্টের রোগী ছিলেন।”
তিনি জানান, আইয়ুব বাচ্চুর মৃত্যু হয়েছে আজ (১৮ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার নিজ বাসাতেই।
“বাচ্চুর হার্টের রিদমটা কমে গিয়েছিলো শেষদিকে। সেই রিদম হঠাৎ বন্ধ হয়ে গেলে আজ সকালে তিনি মারা যান,” যোগ করেন ড. মির্জা।
তিনি আরও বলেন, মৃত অবস্থাতেই সংগীতশিল্পীকে তার ড্রাইভার সকাল সোয়া ৯টার দিকে হাসপাতালে আনেন। ডাক্তাররা তাকে ৯টা ৫৫ মিনিটে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, সকালে নিথর অবস্থায় স্কয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয় আইয়ুব বাচ্চুকে। এ সময় জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা কৃত্রিমভাবে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন বা সিপিআর এর আশ্রয় নেন। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে কোনো কারণে যখন হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায়, তখন সাময়িকভাবে হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুসের কাজ কিছু সময় চালিয়ে মস্তিষ্কে রক্ত এবং অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়। তবে হৃৎপিণ্ড এবং ফুসফুসের স্বাভাবিক কার্যকলাপ ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা।
এর আগে স্কয়ার হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক সানোয়ার হোসেন এই কিংবদন্তী সংগীতশিল্পীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। হাসপাতাল সূত্র জানায়, আইয়ুব বাচ্চু সম্প্রতি স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি কিংবা চিকিৎসাধীন ছিলেন না।
Read More: Life of a legend
Comments