ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়েছে অনশনরত আখতারকে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রতিবাদে অনশনে বসা আইন বিভাগের ছাত্র আখতার হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে অনশন করছিলেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ, 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলসহ চার দফা দাবিতে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মঙ্গলবার থেকে অনশন করছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আখতার হোসেন (মাঝে)। ছবি: পলাশ খান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনার প্রতিবাদে অনশনে বসা আইন বিভাগের ছাত্র আখতার হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর থেকে অনশন করছিলেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড় টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশনকারী আখতারকে দেখতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী ও আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ। ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইন তাদের সঙ্গে ছিলেন।

প্রক্টর রাব্বানী তার দাবিকে স্বাগত জানিয়ে এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে আলাপ আলোচনা করবেন বলে জানান। এসময় তিনিসহ অন্যরা আখতারকে বারবার ডাবের পানি দিয়ে অনশন ভাঙার অনুরোধ জানান। আখতার অনশন ভাঙতে অস্বীকার করলেও তারা চেষ্টা চালিয়ে যান৷ একপর্যায়ে আখতার হাত পা ছোড়াছুড়ি শুরু করে চিৎকার শুরু করেন৷ কয়েকজন ধরাধরি করে হাত থেকে স্যালাইনের ক্যানোলা খুলে তাকে রিক্সায় তোলেন।

রিক্সায় তোলার পরও আখতার চিৎকার আর হাত পা ছুঁড়তে থাকেন। এই অবস্থাতেই তাকে রিক্সায় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।

আখতার গতকাল বুধবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছিলেন, ‘ঘ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটিকে ডিজিটাল জালিয়াতি বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা নিয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। আমি প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা চাই। এ পর্যন্ত জালিয়াতির মাধ্যমে ভর্তি হওয়া সকল শিক্ষার্থীর বহিষ্কার দাবি করছি। প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত সব পক্ষকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক কঠোর শাস্তি দিতে হবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

1h ago