সৌম্যের সেঞ্চুরিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সহজ জয় বিসিবির

চলমান জাতীয় লিগেই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতটা দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। খুলনা বিভাগের হয়ে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে ফের জায়গাটা ফিরে পেতে তা যথেষ্ট ছিল না। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নির্বাচকদের বার্তাটা দিয়ে রাখলেন তিনি। তার ব্যাটেই সফরকারীদের ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বিসিবি একাদশ।
সেঞ্চুরির পর উল্লসিত সৌম্য সরকার। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

চলমান জাতীয় লিগেই ফর্মে ফেরার ইঙ্গিতটা দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। খুলনা বিভাগের হয়ে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই হাফসেঞ্চুরি তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু জাতীয় দলে ফের জায়গাটা ফিরে পেতে তা যথেষ্ট ছিল না। এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নির্বাচকদের বার্তাটা দিয়ে রাখলেন তিনি। তার ব্যাটেই সফরকারীদের ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে বিসিবি একাদশ।

জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বিসিবির। ১১ রানেই ওপেনার মিজানুর রহমানকে হারায় তারা। এরপর সৌম্য সরকারের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়েছিলেন আরেক ওপেনার ফজলে মাহমুদ। সদ্য জাতীয় দলে ডাক পাওয়া এ খেলোয়াড় অবশ্য হতাশ করেছেন। ৩৪ বলে ১৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ফলে ১১ ওভার হাতে রেখেই জয় পায় বিসিবি একাদশ।

দারুণ ব্যাটিং করেন জাতীয় দল থেকে বাদ পরা দুই খেলোয়াড় সৌম্য ও মোসাদ্দেক হোসেন। অবিচ্ছিন্ন ১১২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান।  এরপর স্বেচ্ছায় অবসরে যান মোসাদ্দেক। ১১৪ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন সৌম্য।  ১৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। এছাড়া ৪৮ বলে ৩৩ রান করেছেন মোসাদ্দেক।

অবশ্য বাংলাদেশের সহজ জয়ের ভিতটা বোলাররাই গড়ে দেন। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে টাইগার বোলাররা মাত্র ১৭৮ রানেই আটকে রাখে জিম্বাবুয়েকে। হতে পারতো আরও কম। ৪৭ রানেই তাদের ৫ উইকেট তুলে নিয়েছিল বিসিবি একাদশ। তবে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও এলটন চিগুম্বুরার দৃঢ়তায় সম্মানজনক স্কোর করে সফরকারীরা।

জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ধস নামানোর মূল কারিগর ছিলেন ইবাদত হোসেন। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। দারুণ বোলিং করেছেন অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনও। পেয়েছেন ৩ উইকেট। আর জিম্বাবুয়ের পক্ষে দারুণ এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মাসাকাদজা। ১৩৮ বলে ১৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০২ রান করেন তিনি। ৮৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৭ রান করেন চিগুম্বুরা। এ দুই ব্যাটসম্যান ছাড়া জিম্বাবুয়ের আর কোন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

জিম্বাবুয়ে : ৪৫.২ ওভারে ১৭৮ (হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ১০২*, আরভিন ১, টেইলর ৬, উইলিয়ামস ১, রাজা ৯, মুর ৪, চিগুম্বুরা ৪৭, মুসাকান্দা ০, মাভুতা ০, তিরিপানো ৩, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ০*; ইবাদত ৫/১৯, সাইফউদ্দিন ৩/৩২, মহর ১/১৮, সৌম্য ০/৯, ইমরান ১/২৮, নাঈম ০/৩২, আরিফুল ০/১৪, মোসাদ্দেক ০/১৩, আফিফ ০/১৩)।

বিসিবি একাদশ : ৩৯ ওভারে ১৮১/২ (মিজানুর ৮, ফজলে ১৩, সৌম্য ১০২*, মোসাদ্দেক ৩৩, আরিফুল ৯*; জার্ভিস ০/৯, ছাতারা ০/২৪, রাজা ১/২১, এনগারাভা ০/২৫, তিরিপানো ০/১৭, মাভুতা ০/২৬, উইলিয়ামস ০/২০, নিউমবু ০/২৭, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ০/৬)।

ফলাফল : বিসিবি একাদশ ৮ উইকেটে জয়ী।

Comments