সরকারের নজরদারিতে এইচআরডব্লিউ’র উদ্বেগ

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার যে ব্যাপক মাত্রায় নজরদারির উদ্যোগ নিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার যে ব্যাপক মাত্রায় নজরদারির উদ্যোগ নিয়েছে তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।

মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষ থেকে গতকাল বলা হয়, বাংলাদেশে নিবর্তনমূলক আইন ও নীতিমালা প্রবর্তন করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক ও ইন্টারনেটে মন্তব্য প্রকাশকারী ও সম্প্রচার মাধ্যমের বিরুদ্ধে এসবের প্রয়োগ হচ্ছে। এর ফল হিসেবে মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

তারা বলেছেন, নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করা ততই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ছে। নির্বাচনের সময় সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা দমন করতে এমনটা করা হচ্ছে বলেও বিরোধী দল ও স্বাধীন পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন। অথচ সরকার বলছে, দেশে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য ক্ষতিকর গুজব, মিথ্যা তথ্য ও আপত্তিজনক কনটেন্টের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন।

বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউ’র এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড এডামস বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তার অজুহাত দিয়ে বাংলাদেশ সরকার সমালোচক ও বিরোধীদের মুখ বন্ধ করছে। নির্বাচনের আগে সরকার যেভাবে নজরদারি চালাচ্ছে তা মানুষের গোপনীয়তা ও মত প্রকাশের অধিকারকে খর্ব করছে।’

বাংলাদেশে বর্তমানে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করছেন। দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে সরকারের সমালোচনা ও প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজন শুরু হওয়ার পর থেকে সরকারি কর্তৃপক্ষ এসব মাধ্যম ও ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগের ওপর নজরদারি শুরু করেছে। এসব মাধ্যমে সরকারের সমালোচনা করার কারণে ইতিমধ্যে বেশ কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেছে এইচআরডব্লিউ।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

6h ago