তিব্বতে পাহাড়ধসে আটকে গেছে ব্রহ্মপুত্র, বন্যার আশঙ্কা ভারতে

চীনের তিব্বতে পাহাড়ধসে ব্রহ্মপুত্র নদের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ধসের কারণে বুধবার সকাল থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি জমে একটি হ্রদ তৈরি হয়েছে। এই হ্রদ উপচে ভাটির দিকে থাকা অরুণাচল ও আসামে বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তিব্বতে পাহাড়ধসে ইয়ারলুং সাংপো নদীতে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার খবর গত বৃহস্পতিবার প্রচার করা হয় চীনের গণমাধ্যমে। এই নদীটিই ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়ে আসাম হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

চীনের তিব্বতে পাহাড়ধসে ব্রহ্মপুত্র নদের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ধসের কারণে বুধবার সকাল থেকে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পানি জমে একটি হ্রদ তৈরি হয়েছে। এই হ্রদ উপচে ভাটির দিকে থাকা অরুণাচল ও আসামে বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়, শুক্রবার চীন সরকার ভারতকে জানায় যে, তিব্বতে ধসের কারণে ইয়ারলুং সাংপো নদীর একটি অংশ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে। এই নদীটিই সিয়াং নাম নিয়ে অরুণাচল প্রদেশ দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। আসামে এসে এর নাম হয়েছে ব্রহ্মপুত্র। একই নাম নিয়ে এটি বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করেছে।

আকস্মিক বন্যার সতর্কতা হিসেবে পূর্ব সিয়াং জেলার বাসিন্দাদের নদীর আশপাশে যেতে লোকজনকে নিষেধ করেছে।

সরকারি সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদীর গতিপথ বিশাল পাহাড়ি ধসে আটকে গিয়েছে। এতে নদীর ওপর একটি বাঁধের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। ভাটির দিকে নদীতে পানির স্তর নামতে শুরু করে। আর উজানে সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও আড়াই কিলোমিটার প্রস্থের একটি হ্রদ তৈরি হয়। এই হ্রদ উপচে বন্যায় ভাসতে পারে নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

চীনের গণমাধ্যমগুলো জানায়, ইয়ারলুং সাংপো নদী আটকে যাওয়ার পর আশপাশের প্রায় ছয় হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

আসাম সরকারও উত্তরের চারটি জেলায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ইতিমধ্যে আশপাশের রাজ্যগুলো থেকে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

অরুণাচল প্রদেশের সরকারি সূত্রগুলো জানায়, চীন সরকার নয়া দিল্লিকে জানিয়েছে যে, শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে হ্রদ উপচে পানি নামতে শুরু করে। এতে নিম্নাঞ্চলে নদীতে ব্যাপক পরিমাণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যে অতিরিক্ত পানি সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করবে। শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ সিয়াং নদীতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।

Comments