ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে অনুকরণ করেননি ইমরুল

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। সেঞ্চুরির পর ভিন্নভাবেই উদযাপন করলেন এ ক্রিকেটার। যা মনে করিয়ে দিল ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল দল ব্রাজিলের বেবেতোকে। ওই বিশ্বকাপে এমনই এক উদযাপন করেছিলেন সে ফরোয়ার্ড। তবে সেটাকে অনুকরণ করেননি বলেই জানিয়েছেন ইমরুল।
সেঞ্চুরির পর উদযাপন করছেন ইমরুল। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। সেঞ্চুরির পর ভিন্নভাবেই উদযাপন করলেন এ ক্রিকেটার। যা মনে করিয়ে দিল ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল দল ব্রাজিলের বেবেতোকে। ওই বিশ্বকাপে এমনই এক উদযাপন করেছিলেন সে ফরোয়ার্ড। তবে সেটাকে অনুকরণ করেননি বলেই জানিয়েছেন ইমরুল।

সেঞ্চুরির পর উদযাপনের সময় বেবেতোর কথা মনে হয়েছিল কিনা প্রশ্নে হেসে ফেলেন ইমরুল। বললেন, ‘না ভাই, আমি আপনাদের মতো কিছু মনে রাখি না। আর এতো আগের কথা আমার মনেও নেই। সম্প্রতি আমার সন্তান হয়েছে। আমার সন্তানের জন্য সেঞ্চুরিটা উৎসর্গ করেছি।’

সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে দেশে রেখেই এশিয়া কাপের মাঝপথে দুবাইয়ে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন ইমরুল। দেশে ফেরার পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথম সন্তানের মুখ দেখেন ইমরুল। এরপর জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচেই বাবা ইমরুলের দুর্দান্ত ব্যাটিং। তাও দলের খুব প্রয়োজনীয় সময়ে। শুরু থেকে প্রায় শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করে দলের ইনিংসতো মেরামত করেছেনই, নিজেও করেছেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। আর বাবা ইমরুল তাই ভিন্নভাবেই উদযাপন করতেই পারেন।

এমন উদযাপনের মূল ইতিহাসটা ১৯৯৪ ফুটবল বিশ্বকাপ থেকেই উঠে আসে। নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে খেলছিল ব্রাজিল। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দারুণ এক গোল দিয়ে ভিন্ন ধরণের উদযাপন করেন বেবেতো। কনুই ভেঙে দুই হাত আড়াআড়ি দোলাতে থাকেন। তার সঙ্গে যোগ দেন মাজিনহো ও রোমারিও। ফুটবল ইতিহাসে অনন্য এ উদযাপন আজও স্মরণীয় হয়ে আছে। রোববার ঠিক এমনই উদযাপন করেন ইমরুল। পার্থক্য শুধু তার হাতে ছিল একটি ব্যাট।

তবে ইতিহাস সেই একই। বেবেতোর সেই উদযাপনের পেছনেও ছিল একই কারণ। সে ম্যাচের ঠিক দুই দিন আগে তার স্ত্রী জন্ম দেন তাদের প্রথম সন্তান ম্যাথিয়াস ওলেভেইরার। সেই সন্তানকে উৎসর্গ করেই সে উদযাপন করেছিলেন বেবেতো। ইমরুলও করেছেন ঠিকই তাই-ই।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago