খাশোগি হত্যার ‘নির্মম সত্য’ তুলে ধরবো: এরদোয়ান

Recep Tayyip Erdogan
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। রয়টার্স ফাইল ছবি

ইস্তান্বুলে সৌদি কনসুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগির নিহত হওয়া সংক্রান্ত ‘নির্মম সত্যগুলো’ তুলে ধরা হবে বলে প্রতিজ্ঞা করেছেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেসিপ তাইয়েব এরদোয়ান।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, সৌদি সাংবাদিক হত্যার বিষয়ে এরদোয়ান একটি নতুন বার্তা প্রকাশ করবেন আগামীকাল (২৩ অক্টোবর)।

গতকাল ইস্তান্বুলে এক বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, “আগামীকাল আমার দলের এক বৈঠকে এ সম্পর্কে আমি একটি বার্তা দিবো।”

খাশোগি হত্যার সুবিচার দাবি করে তিনি বলেন, “এ ঘটনার পেছনের নির্মম সত্যগুলো তুলে ধরা হবে।”

এরদোয়ানের এমন মন্তব্যের পর ধারণা করা হচ্ছে যে গত ২ অক্টোবর ওয়াশিংটন পোস্টের লেখক খাশোগিকে সৌদি কনসুলেটে হত্যার পর আঙ্কারা যে তদন্ত চালিয়েছে তার অংশ বিশেষ সেই নতুন বার্তায় প্রকাশ করা হতে পারে।

ইস্তান্বুলে সাংবাদিক হত্যার ঘটনায় এরদোয়ান এতোদিন মোটামুটি চুপচাপই ছিলেন। তার সরকারের সমর্থন করে এমন দৈনিকগুলো জানায় যে কনসুলেটে খাশোগির সঙ্গে মোলাকাত করতে ১৫ সদস্যের একটি দল সৌদি আরব থেকে উড়ে এসেছিলো। এরপর, খাশোগি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে সৌদি সরকার এর সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায়।

সেই প্রসঙ্গ টেনে এরদোয়ান বলেন, “কেনো ১৫ জন ইস্তান্বুলে এসেছিলেন, কেনো ১৮ জনকে আটক করা হলো- এ বিষয়গুলো পরিষ্কার করে জানানো প্রয়োজন।”

এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হওয়ার পর থেকে লাগাতার মিথ্যা বলার পর সৌদি সরকার গত ২০ অক্টোবর খাশোগির নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করে নেয়। বলে, কনসুলেটের ভেতরে ‘হাতাহাতি’-র ফলে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচক এই সাংবাদিকের মৃত্যু হয়েছে।

এদিকে, কাতার-ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার সাংবাদিক জামাল আল শায়াল ইস্তান্বুল থেকে সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, “এই প্রথম তুরস্কের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তা- বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি- একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিয়ে তথ্য প্রকাশের ঘোষণা দিলেন।”

এর আগে গত ২০ অক্টোবর সৌদি সরকারের স্বীকারোক্তির পর তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) মুখপাত্র ওমর জালিক বলেছিলেন, “তুরস্ক আগে-ভাগে কাউকে দোষী বলতে চায় না। তবে আমরা এও চাই না যে ঘটনাটি চাপা পড়ে যাক।”

এছাড়াও, দলটির বিভিন্ন কর্তাব্যক্তি হত্যাকাণ্ডটিকে নির্মম, নৃশংস হিসেবে উল্লেখ করে এর পেছনের ‘সত্যগুলো’ প্রকাশের তাগিদ দিয়েছিলেন। তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারাও বলেছেন তাদের কাছে খাশোগির অডিও রেকর্ড রয়েছে। সেসময় সেই রেকর্ডের বরাত দিয়ে সরকারপন্থি একটি দৈনিক জানিয়েছিলো, কনসুলেটের ভেতরে খাশোগিকে নির্যাতনের সময় তার আঙ্গুল কেটে ফেলা হয়। এরপর কাটা হয় তার গলা।

Comments

The Daily Star  | English
Anti-Terrorism Act

Banning party activities: Govt amends anti-terror law

Activities of certain entities, and activities supporting them can now be banned

1h ago