বিএনপি মানেই সন্ত্রাসের আতঙ্ক: হানিফ

সমান সুযোগ বা সহাবস্থান তৈরি হবে না কেন? প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি অংশই এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা না।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ। স্টার ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনের সঙ্গে।

নিবার্চনকালীন সরকার যদি একই থাকে, তাহলে সবার জন্যে সমান সুযোগ তৈরি হবে কীভাবে?

মাহবুব উল আলম হানিফ: সমান সুযোগ বা সহাবস্থান তৈরি হবে না কেন? প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারের প্রতিটি অংশই এ ব্যাপারে সচেতন রয়েছে। এক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা না। সরকারের কাজ হলো রুটিন ওয়ার্ক করা। উন্নয়ন এবং কর্ম পরিকল্পনা যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য নিবার্চনকালীনও একই সরকার থাকা দরকার বলে মনে করছি আমরা।

মন্ত্রী, এমপিরা যেহেতু ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনে করবেন, সেহেতু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষপাতিত্বের সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে  না?

হানিফ: নির্বাচনের সময় প্রশাসন থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সেক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের কোনো সম্ভাবনা নেই। তারপরও যদি এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, সেটি নজরে রাখবে নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেবে তারা। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন তৎপর থাকবে বলেই আমার বিশ্বাস।

রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে সরকার বারবার বাধা দিচ্ছে, বিএনপির এই অভিযোগ বিষয়ে কি বলবেন?

হানিফ: বিএনপিকে বাধা দেওয়া হচ্ছে না।

কে সমাবেশ করছে না? সবাইকেই সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টও সিলেটে সমাবেশ করার অনুমতি পেয়েছে। কিছুদিন আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে বিএনপি। কিন্তু বিষয়টি হলো- বিএনপি মানেই সন্ত্রাসের আতঙ্ক। জনগণ, সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যেও একই শঙ্কা কাজ করে। ফলে অনেক সতর্ক হয়ে দলটিকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কোনো রাজনৈতিক দলেরই সমাবেশ করার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা নেই।

বিএনপির অভিযোগ, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে হয়রানি করা হচ্ছে।

হানিফ: বিএনপি কি বলছে, না বলছে, তা দিয়ে কী হবে। দলটি আইনও মানে না, বিচারও মানে না। আইন সকলের জন্য সমান। ব্যারিস্টার মইনুল নিশ্চয়ই এমন কোনো কাজ করেছেন, যে কারণে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। বিএনপি যদি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতোই, তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহারের দাবি করতে পারতো না।

প্রধানমন্ত্রী গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সম্পর্কে বলেছেন, ‘আপনারা প্রতিবাদ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যা করার করবে। আপনারা মামলা করেন, আমরা যা করার করব।’

হানিফ: যে অন্যায় করবে তার বিরুদ্ধে মামলা হতেই পারে। প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা দেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Protesters stage sit-in near Bangabhaban demanding president's resignation

They want Shahabuddin to step down because of his contradictory remarks about Hasina's resignation

41m ago