ইংল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইয়ে পেরে উঠল না পাকিস্তান

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে মইন আলির দল।
ছবি: এএফপি

মোহাম্মদ রিজওয়ান আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ছড়ালেন আলো। কিন্তু তার তৈরি করে দেওয়া পথে হাঁটতে পারলেন না বাকিরা। ফলে মাঝারি সংগ্রহে আটকে গেল পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডকে জয়ের ভিত গড়ে দিলেন লম্বা সময় পর দলে ফেরা অ্যালেক্স হেলস। অপরাজিত থেকে বিধ্বংসী ইনিংসে বাকি কাজটা সারলেন হ্যারি ব্রুক। তাতে সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল সফরকারীরা।

মঙ্গলবার করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৬ উইকেটে জিতেছে মইন আলির দল। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রান তোলে স্বাগতিক পাকিস্তান। লক্ষ্য তাড়ায় ৪ বল হাতে রেখে ১৬০ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে ইংলিশরা। ফলে সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা এগিয়ে গেল ১-০ ব্যবধানে।

অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে ৯.৩ ওভারের উদ্বোধনী জুটিতে ৮৫ রান আনেন রিজওয়ান। জুটিতে তার ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। লেগ স্পিনার আদিল রশিদের গুগলিতে বোল্ড হন বাবর। এই সংস্করণে ছন্দের অভাবে থাকা ব্যাটার করেন ২৪ বলে ৩১ রান।

এরপর আর কোনো ভালো জুটি পায়নি পাকিস্তান। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। হায়দার আলিকে ফেরান স্যাম কারান। রিজওয়ান ক্রিজ বেরিয়ে মারতে গিয়ে হন স্টাম্পড। তার ৪৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংসে ছিল ৬ চার ও ২ ছক্কা। টি-টোয়েন্টি অভিষেক রাঙাতে পারেননি শান মাসুদ। তিনি হন রশিদের দ্বিতীয় শিকার।

পাকিস্তানের ইনিংসের পরের গল্পটা লুক উডের। ইংল্যান্ডের অভিষিক্ত বাঁহাতি পেস বোলিং অলরাউন্ডার ডেথ ওভারে কাড়েন নজর। শুরুটা মোহাম্মদ নওয়াজকে বোল্ড করে। শেষ ওভারে জোড়া শিকার ধরেন তিনি। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে থাকা ইফতিখার আহমেদের পর তিনি ফেরান নাসিম শাহকেও। ফুল টস বলে সীমানার সামান্য ভেতরে ইফতিখার ক্যাচ দেন বেন ডাকেটের হাতে। তিনি ৩ ছক্কায় ২৮ রান করেন ১৭ বলে।

ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা উড ২৪ রান খরচায় নেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট দখল করতে রশিদ দেন ২৭ রান।

অন্যপ্রান্তে কেউ থিতু হতে না পারলেও ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে রাখেন হেলস। সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমে ক্যারিয়ারের নবম হাফসেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। শাহনেওয়াজ দাহানির বলে ফিল সল্ট ডিপ স্কয়ার লেগে তালুবন্দি হন হায়দারের। আশা জাগিয়ে মাঠ ছাড়া ডাভিড মালান ও ডাকেটকে ঝুলিতে পোরেন উসমান কাদির।

চতুর্থ উইকেটে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ব্রুককে পান হেলস। তারা ৩৫ বলে যোগ করেন ৫৫ রান। হেলস বিদায় নিলেও মইনকে নিয়ে বাকিটা সারতে বেগ পেতে হয়নি ব্রুকের। ৭ চারে ২৫ বলে ৪২ রান আসে তার ব্যাট থেকে। হেলস দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন। তিনিও ৭ চার মারেন ৪০ বল মোকাবিলায়।

Comments