টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে বাংলাদেশের মেয়েরা

আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিল না টাইগ্রেসরা।
ছবি: টুইটার

মুর্শিদা খাতুন ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির ফিফটিতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেল বাংলাদেশ। এরপর সালমা খাতুন, সানজিদা আকতার মেঘলা, লতা মণ্ডলরা করলেন আঁটসাঁট বোলিং। আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রকেও পাত্তা দিল না টাইগ্রেসরা। টানা তিন জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের সেমিফাইনালে উঠল তারা।

বুধবার আবুধাবিতে বাছাইয়ের 'এ' গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে ৫৫ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রান তোলে তারা। জবাবে পুরো ওভার খেলা যুক্তরাষ্ট্র ৩ উইকেটে ১০৩ রানের বেশি করতে পারেনি।

তিন ম্যাচে বাংলাদেশের মেয়েদের অর্জন পূর্ণ ৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট পাওয়া আইরিশরা রানার্সআপ হয়ে পেয়েছে সেমির টিকিট। তিনে থাকা স্কটল্যান্ড ২ পয়েন্ট নিয়ে শেষ করেছে গ্রুপ পর্ব। তলানিতে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের নামের পাশে কোনো পয়েন্ট নেই।

ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানে শামিমা সুলতানাকে হারায় বাংলাদেশ। ১৭ বলে ১০ রান করে তিনি হন বোল্ড। এরপর আর কোনো উইকেট পড়েনি। আরেক ওপেনার মুর্শিদা ও জ্যোতি দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন অবিচ্ছিন্ন ১৩৮ রানের জুটি। মুর্শিদা অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংস খেলেন। ৬৪ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৯ চার। জ্যোতি ৪০ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৬ রানে অপরাজিত থাকেন।

লক্ষ্য তাড়ায় নামা আমেরিকান মেয়েরা শুরুতেই দিশেহারা হয়ে যায়। দলীয় ১২ রানের মধ্যে তারা হারায় ৩ উইকেট। স্নিগ্ধা পলকে বোল্ড করেন অভিজ্ঞ অফ স্পিনার সালমা। দিশা ঢিংড়া কাটা পড়েন রানআউটে। আনিকা কোলানের স্টাম্প উপড়ে দেন বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা আকতার।

ধাক্কা সামলে বড় জুটি গড়েন অধিনায়ক সিন্ধু শ্রীহার্শা ও লিসা রামজিত। কিন্তু বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রণ আলগা করতে পারেননি দুজন। তাদের ৯১ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি কেবল হারের ব্যবধানই কমায়। শ্রীহার্শা ৭১ বলে ৭৪ ও লিসা ৪১ বলে ২৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ৩ ওভারে ১২ রান দেন সালমা। মেঘলা ১৮ রান খরচ করেন ৪ ওভারে। লতা ৯ রান দেন ২ ওভার হাত ঘুরিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago