বাবরের ঝড়ো সেঞ্চুরি ও রিজওয়ানের তাণ্ডবে পাকিস্তানের রেকর্ড
বেন ডাকেট ও অধিনায়ক মইন আলির ব্যাটে বড় পুঁজি পেল ইংল্যান্ড। এরপর ক্রিকেটপ্রেমীরা সাক্ষী হলেন স্মরণীয় এক রান তাড়ার। জীবন পাওয়া মোহাম্মদ রিজওয়ান চালালেন তাণ্ডব। ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে বাবর আজম তুলে নিলেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। তাদের অবিচ্ছিন্ন রেকর্ড জুটিতে সাত ম্যাচের সিরিজে সমতায় ফিরল পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার করাচির জাতীয় স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ইংলিশদের গুঁড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। তারা জিতেছে ১০ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তোলে সফরকারীরা। জবাবে ৩ বল হাতে রেখে বিনা উইকেটে ২০৩ রান করে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা।
এই সংস্করণে কোনো উইকেট না হারিয়ে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড এটি। আগের কীর্তিতেও জড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তানের নাম। ২০১৬ সালে হ্যামিল্টনে তাদের বিপক্ষে ১৬৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১০ উইকেটে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে এটাই পাকিস্তানের প্রথম দুইশ ছোঁয়া (১১৭ বলে ২০৩ রান) জুটি। আগের রেকর্ডও গড়েছিলেন বাবর ও রিজওয়ান। গত বছর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে তারা যোগ করেছিলেন ১৯৭ রান।
৬৬ বলে ১১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন বাবর। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে আগের সাত ম্যাচে ফিফটি না পাওয়া পাকিস্তানের অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ১১ চার ও ৫ ছক্কা। ৩৯ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর ৬২ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছান তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার রিজওয়ান ৫১ বলে করেন অপরাজিত ৮৮ রান। তিনি মারেন ৫ চার ও ৪ ছক্কা। আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটিং র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটারের এটি টানা তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি।
রিজওয়ান ফিরতে পারতেন পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। লিয়াম ডসনের বলে ব্যক্তিগত ২৩ রানে বেঁচে যান তিনি। মিড-অফ থেকে কিছুটা পেছনে দৌড়ে ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি অ্যালেক্স হেলস। বাবরকে ফেরানোর সুযোগও এসেছিল ইংল্যান্ডের। তখন তার রান ছিল ৯২। ডেভিড উইলির বল ডিপ মিডউইকেট দিয়ে উড়িয়ে মেরেছিলেন তিনি। লাফিয়েও এক হাতে ক্যাচ লুফে নিতে ব্যর্থ হন স্যাম কারান। উল্টো হয়ে যায় ছক্কা।
এর আগে ইংলিশদের ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটির পর জোড়া আঘাত হানেন শাহনেওয়াজ দাহানি। পরপর দুই বলে তিনি বিদায় করেন ওপেনার হেলস ও ডেভিড মালানকে। ডাকেট ক্রিজে গিয়েই পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। তৃতীয় উইকেটে আরেক ওপেনার ফিল সল্টকে নিয়ে যোগ করেন ৩৭ বলে ৫৩ রান। সল্টকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন হারিস রউফ। পরের ওভারে ডাকেটকে সাজঘরে পাঠান মোহাম্মদ নওয়াজ। ২২ বলে ৭ চারে ৪৩ রান করেন তিনি।
এরপর মইন চড়াও হন পাকিস্তানের বোলারদের ওপর। সমান ৪ ছক্কা ও চারে ২৩ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে ২৭ বলে ৫৯ ও কারানের সঙ্গে ১৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৯ রানের জুটি গড়েন। তাতে দুইশ ছুঁইছুঁই সংগ্রহ স্কোরবোর্ডে জমা করে ইংল্যান্ড। তবে শেষ পর্যন্ত তা যথেষ্ট হয়নি বাবর ও রিজওয়ানের বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে।
Comments