দুই শূন্যের পর এবার ম্যাচ সেরা সাকিব

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) আগের দুই ম্যাচে সময়টা ভালো যায়নি সাকিব আল হাসানের। দুই ম্যাচেই ব্যাট হাতে ফিরেছেন খালি হাতে। তবে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জ্বলে উঠেছেন তিনি। ব্যাটে-বলে দারুণ অলরাউন্ড নৈপুণ্যে দলকে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের এ অলরাউন্ডার।

শনিবার গায়ানার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে সিপিএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৩৭ রানে হারিয়েছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করে তারা। জবাবে ১৩৬ রানে গুটিয়ে যায় ত্রিনবাগো। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে জিততেই হতো তাদের।

এদিন নিজেদের ইনিংসের অষ্টম ওভারে শেই হোপ আউট হওয়ার পর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন সাকিব। আফগান ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। তৃতীয় উইকেটে তার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ে দলের বড় সংগ্রহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন সাকিব। ব্যক্তিগত ৬০ রানে রহমানুল্লাহ আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পর অবশ্য ফিরে যান সাকিবও।

সাকিবের ব্যাট থেকে এদিন আসে ৩৫ রান। ২৫ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৪টি চার ও ১টি ছক্কায়। সামিত প্যাটেলের এক ওভারেই মারেন তিনটি চার। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন সুনীল নারিনের বলে। এ স্পিনারের সিপিএল ক্যারিয়ারের ১০০তম শিকার হন সাকিব।

ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও দলের জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন সাকিব। বল হাতে নিয়েই ত্রিনবাগোর ওপেনিং জুটি ভাঙেন তিনিই। টিম সেইফার্টকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। তার আর্ম বলে সুইপ করতে গিয়ে লাইন মিস করেন এ কিউই তারকা।

১৭তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে এবার দলের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাটার আন্দ্রে রাসেলকে ফেরান সাকিব। তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। তার মিডল স্টাম্পে করা বলে পুল করতে গিয়েছিলেন রাসেল। ব্যাটের কানায় লেগে চলে যায় উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহর হাতে।

পরের ওভারের ফিরে আউট করেন আরেক ভয়ঙ্কর ব্যাটার নারিনকে। এই নারিনের বলেই আউট হয়েছিলেন তিনি। তাকে সরাসরি বোল্ড করে দেন এ অলরাউন্ডার। নারিনের বিদায়ে শেষ হয়ে যায় ত্রিনবাগো শেষ আশা।

Comments

The Daily Star  | English

BDR carnage rooted in 'long-term plot', says investigation commission

Evidence suggested that some political leaders were involved, according to commission chief

9m ago